চরিত্রহীন পুরুষ নিয়ে উক্তি ,স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন
চরিত্রহীন পুরুষ হচ্ছে পশুর সমান। কেননা চরিত্র না থাকলে সে কখনো পুরুষ হতে পারেনা। তাই চরিত্র গঠনের জন্য শিশুকাল থেকে মরণের আগ পর্যন্ত হতে পারে। চরিত্র মানুষের অমূল্য সম্পদ। যা একবার চলে গেলে আর কখনো ফিরে আসেনা। পেছন থেকে ধরে রাখার জন্য নিজেকে শুদ্ধিকরণ হতে হয়। অভাবে যে শুদ্ধ থাকে সেই প্রকৃত চরিত্রবান। চরিত্র হচ্ছে মানুষের মধ্যে অন্ধকারের মতো যা দেখা যায় না। মানুষের জীবনে চরিত্র তিন রকমের হতে পারে। যা সে প্রকাশ্যে দেখিয়ে বেড়ায়, যার ভিতর যেভাবে আছে, আজ যা সে মনে মনে কল্পনা করে।
প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ অনলাইনে অনুসন্ধান করে যাচ্ছে চরিত্রহীন পুরুষ উক্তির স্ট্যাটাস ক্যাপশন পাওয়ার জন্য। তাই আমি আজকে আমার এই পোস্টটিতে চরিত্রহীন পুরুষ নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনারা যারা চরিত্রহীন পুরুষ নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস ক্যাপশনগুলো এখন পর্যন্ত খুঁজে পাননি তারা আমার এ পোস্টটি থেকে পেতে পারেন। আমি চেষ্টা করেছি আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে চরিত্রহীন পুরুষ নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস ও ক্যাপশনগুলো সুন্দর করে সাজিয়ে দিতে।
চরিত্রহীন পুরুষ নিয়ে উক্তি
মানুষের চরিত্র এমন একটা জিনিস যা অন্ধকারের মতো। অন্ধকারে যেমন কিছু দেখা যায় না ঠিক তেমনি মানুষের চরিত্র প্রকাশ্যে কিছু না করলে কেউ বুঝতে পারে না। চরিত্র মানুষের সততা সততা মিথ্যাচার অনাচার এসবের মধ্যে নিহত থাকে। আপনারা যারা চরিত্রহীন পুরুষ নিয়ে উক্তি খুঁজছেন তারা নিচে থেকে সংগ্রহ করুন।
১।“ একজন চরিত্রহীন পুরুষ সর্বদা অর্থ উপার্জনের ধান্ধায় থাকে আর একজন মহিলা তার দেহগঠন নিয়ে ব্যস্ত থাকে ”
২। আমার সংজ্ঞায় চরিত্রহীনতার সঙ্গে যৌনতার কোনও সম্পর্ক নেই, সম্পর্ক আছে শঠতা, নীচতা, অসততা, মিথ্যে, প্রতারণা, ছলনা, চাতুরির সঙ্গে।
– তসলিমা নাসরিন
৩। নৈতিকতা বিবর্জিত মানুষের চরিত্র বলতে কিছুই থাকে না
– কবীর চৌধুরী
৪। চরিত্রহীনা নারী চরিত্রহীন পুরুষের জন্য, আর চরিত্রহীন পুরুষ চরিত্রহীনা নারীর জন্য। সৎ চরিত্রবতী নারী সৎ চরিত্রবান পুরুষের জন্য, আর সৎ চরিত্রবান পুরুষ সৎ চরিত্রবতী নারীর জন্য।
– আল কুরআন
৫। সুন্দরী নারী চরিত্রহীন পুরুষের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়।
চরিত্রহীন পুরুষ নিয়ে স্ট্যাটাস
কথা কাজে এবং সততায় চরিত্রের মেরুদন্ড। তাই চরিত্র কি ঠিক রাখা একজন মানুষের পক্ষে খুবই জরুরী। যে চরিত্র একবার চলে যায় সে আর কখনো ফিরে আসেনা। তাই তোকে সবসময় নির্মল রাখাই ভালো। অনেকে আছেন যারা চরিত্রহীন পুরুষ নিয়ে স্ট্যাটাস দিতে ভালোবাসেন। তা নিচে থেকে স্ট্যাটাস গুলো নিতে পারবেন।
১। “তােমার চরিত্র যদি নির্মল হয় এবং যদি তুমি সুশিক্ষিত হও, তৰে নিজকে নিয়ে তুমি গর্ব করতে পারো। – ডিজরেইলি”
২। “চরিত্রকে সহজ করার চেয়ে সংশোধন করা কষ্টকর। – স্যামুয়েল স্মাইল”
৩। “মানুষের চরিত্র সৎ ও সুন্দর হলে, তার কথাবার্তাও নম্র-ভদ্র হয়। – হযরত আলী (রাঃ)”
৪। “অর্থের প্রয়ােজন নেই, পদমর্যাদার প্রয়ােজন নেই। প্রয়ােজন আছে শুধু চরিত্রের, যা মানুষের জীবনে সর্বাপেক্ষা প্রয়োজনীয়। – ব্লাকি”
৫। “সমাজের সবচেয়ে বড় আশাই ব্যক্তিগত চরিত্র। – চ্যানিং”
৬। “কথা এবং সততাই চরিত্রের মেরুদণ্ড। – স্কাইলাস”
৭। “চরিত্রবল সৃষ্টি করতে হলে জনসমাজে মেশাে, কিন্তু যদি প্রতিভার সম্যক প্রস্ফুরণ তােমার কামনা হয় হলে সাধন করিও নির্জনে। – গ্যেটে”
৮। “সুসামঞ্জস্য চরিত্রের লােক সুসামঞ্জস্য জীবন যাপন করে। – ডেমােক্রিটাস”
৯। “টাকায় কিছু হয় না, নাম যশে কিছু হয় না, বিদ্যায় কিছু হয় না। চরিত্রই বাঁধা বিঘ্নের বজ্রদৃঢ় প্রাচীর ভেদ করতে পারে। – স্বামী বিবেকানন্দ”
১০। “ভালােবাসা, আশা, দুঃখ এবং বিশ্বাস দিয়ে গড়া মানুষের চরিত্র। – রবার্ট ব্রওনিং”
১১। “কথায়, কাজে এবং সততাই চরিত্রের মেরুদন্ড। – স্মাইলস”
১২। “আমি যদি নিজ চরিত্র সম্বন্ধে যত্নবান হই, তাহলে আমার খ্যাতি আপনা থেকেই আসবে। – ডি এল মুতি”
চরিত্রহীন পুরুষ নিয়ে ক্যাপশন
যারা চরিত্রহীন পুরুষ নিয়ে ক্যাপশন ফেসবুকের সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে দিতে চান তারা আমার এই পোস্টটি থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। আমি আজকে আমার এ পোস্ট টিতে চরিত্রহীন পুরুষ নিয়ে ক্যাপশন গুলো উল্লেখ করেছে। চরিত্রহীন পুরুষ নিয়ে ক্যাপশন গুলোই এমনভাবে স্থাপন করেছে যেগুলো আপনারা খুব সহজেই সংগ্রহ করতে পারবেন।
” চরিত্রহীন পুরুষ পশুর থেকেও অধম”
“চরিত্র হল অন্ধকারের মধ্যে আপনি যা। – ডিয়ুইট এল মুতি”
“অভাবেও যার স্বভাব ঠিক থাকে, সেই যথার্থ চরিত্রবান। – সিনেকা”
“প্রত্যেক মানুষের তিন প্রকারের চরিত্র আছে, যা সে প্রকাশে দেখিয়ে বেড়ায়, যা সত্যিকার আছে এবং যা সে মনে করে যে তার আছে। – আলফাঁসাে কার”
“চরিত্র যৌবনকে সৌন্দর্য এনে দেয় এবং সম্ভ্রম জানায় কুঞ্চিত চর্ম ও ধূসর চুলকে। – ইমারসন”
“চরিত্র গঠনের কাজ শিশুকাল থেকে মরণের আগ পর্যন্ত চলতে থাকে। – মিসেস ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট”
“আমাদের চরিত্র হচ্ছে আমাদের আচার ব্যবহারের ফলশ্রুতি। – এরিস্টটল”
“চরিত্র শব্দের অর্থ এই—যাতে করে চলা যায়। – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর”
“চরিত্রকে পুনরুদ্ধারের চেয়ে নির্মল রাখার চেষ্টা অনেক সহজ। – টমাস পেইন”
চরিত্রহীন পুরুষ নিয়ে কবিতা
অনেক কবিরা অনেকভাবে চরিত্রহীন পুরুষ নিয়ে কবিতা উল্লেখ করে গেছেন। আজকে আমার এই পোস্টটিতে আমি চরিত্রহীন পুরুষ নিয়ে কয়েকটি কবিতা উল্লেখ করেছি। আপনারা কবিতা পড়তে লিখতে ভালোবাসেন তারা আমার এই পোস্টটি থেকে নিতে পারবেন।
আমরা চরিত্রহীন পুরুষ
আমরা অসভ্য চরিত্রহীন মানুষ ,
মনুষ্যত্ব একদম হাওয়াভরা ফানুস ।
রাস্তাঘাটে, বাসেট্রামে মেয়ের খোঁজে ঘুরি ,
দেখা পেলেই ড্যাবডেবিয়ে চক্ষু-ভক্ষণ করি ।
কখনো সুযোগ পেলে , শরীর ঘেঁষে পরশের শিহরণ ,
সীমিত অবসরে টুকরো সুখের আহরণ ।
আমাদের দেখে চেনা দায় ,
পুরোপুরি ভদ্দরলোকের পোশাকে –
কখনো বাবা , দাদা বা দাদুর চামড়া গায়ে !
আমরা শরৎবাবুর কুলিন পুরুষের বংশজ,
সমাজের ঐতিহাসিক ঐতিহ্য ;
তোমাদের শুঁচিবাই আইনে ,
মেয়েদের মাথায় তোলার আতিশয্য –
এমন আইন বড়ই অসহ্য ।
আমরা সুপুষ্ট শরীরের হ্যাঁঙলা কাঙাল ,
বোকারা আমাদের পাড়ে গাল –
বলে আমরা নাকি ,সমাজের জঞ্জাল ।
লজ্জা পাইনে আমরা ,
একটু সাবধান হয়েছি আজকাল ;
চেহারা ঢাকতে, চোখে কালো চশমা পরি ,
নরম গরম শরীরটাকে চূড়ান্ত ভোগ করে ;
সুন্দর উষ্ণ লোভনীয় দেহটাকে,
নীরব নিঃশব্দ প্রাণহীন করি ;
যাতে ঐ সুন্দর মুখে –
অবিশ্বাস আর ঘৃণার কাহিনী কেউ শুনতে না পায় ।
শেষে লুটিয়ে পড়ি ,কোন শক্তিধর দাদার পায়ে ;
তারপর আর ভয় নেই, নিঃশ্চিন্ত ।
দু-চারদিন হৈচৈ , সংবাদের শিরোনাম ,
দাদা আর নেতারাসব আমার দলে, ডান কিংবা বাম ।
তারপর সব চুপ , সবাই ভুলে যায় মেয়েটার নাম
পুরুষ মানেই চরিত্রহীন ?
– অরুনাভ সেনগুপ্ত
হুম ঠিক শুনেছেন, পুরুষ মানেই নোংরা, পুরুষ মানেই চরিত্রহীন।
বর্তমান সমাজ এতেই দিয়েছে শিলমোহর, তাই সমাজ করেছে তাকে সমাজহীন।
পুরুষ মানেই ধর্ষক, ধর্ষণের দর্শক, পুরুষ মানেই আবার অমানুষ।
পুরুষদের হৃদয় বলে কিছু আছে নাকি, তারা তো সব আদিম যুগের বনমানুষ।
এই হচ্ছে বর্তমান সমাজে মানুষের চিন্তাধারা,
ভেবে দেখেছেন,তিনি তো কারো বাবা,কারো আবার ছেলে,
তাদের বিচারও কি হওয়া উচিত, একই ছাঁচে ফেলে ?
নিজের বাবা ,নিজের ভাই সবাই তারা ভালো।
রাস্তায় অন্য পুরুষ হাঁটলে পরেই, তারা হিংস্র, তাদের মনটা কালো।
চিন্তাধারা পালটানো চেষ্টা করুন, সবাই নয়কো এক।
চিনতে শিখুন, জানতে শিখুন, বিবেচনার সহিত ভাবতে শিখুন।
সব পুরুষই খারাপ হলে নিজের ডোরেমন বাবাকে দেখুন।
কি হোয়েছে না জেনেই ,অনেক সময় এই পুরুষই,মেয়েদের সমথর্ন করে।
পুরুষ বলেই হয়তো,নিরপরাধ হয়েও একা বাড়িতে গুমরে মরে।
সে হয়তো ইচ্ছে করে কোনুইয়ে মারেনি।
অন্য মনস্ক হোয়েছিল,লেগে গেছে বুঝতে পারেনি।
তাই বলে, আপনি সবার সামনে তাকে অসম্মান করবেন,
তাকে কিছু দাঙ্গাবাজ লোকের হাতে, মার খাওয়াবেন।
বুঝতেই তো পারছেন একজন বাড়ির পুরুষের ওপর পুরো বাড়ির, চিন্তা মান-সম্মান সবটাই বর্তায়,
কে বলতে পারে বলুনতো,সে হয়ত ছিল ,তার ক্যান্সারে আক্রান্ত মায়ের চিন্তায়।
ওই একটা ঘটনায় তাকে কিছুক্ষনের অতিথি করে দিতে পারে।
আর যদি সেরকমই কিছু পরিণতি হয় ,পারবেন নিজেকে ক্ষমা করতে ?
পারবেন সেই দুখিনী মেয়ের সামনে গিয়ে দাঁড়াতে ?
পারবেন না, কারণ আপনি জানেন যেটা করেছেন সেটা অন্যায়,
আর তার জন্য, সেই মরণাপন্ন মায়ের বেচেঁ থাকার ইচ্ছেটাই হয়তো আর নেই।
তাই সবার উদ্দেশ্যে একটাই কথা বলার, ঘটনার সত্যতা বিচার না হওয়া অবধি,পালন করুন নিরাবতা,
না জেনে,না বুঝে একজন সৎ মানুষের গায়ে কাদা ছেটানোর জায়গায়,দেখান না একটু মানবতা, একটু ভদ্রতা।
উপসংহার
সর্বশেষে বলা যায় চরিত্র মানুষের জীবনের প্রধান মেরুদন্ড। এ চরিত্র না থাকলে জীবনে কিছুই থাকে না। তাই চরিত্র কি ঠিক রেখে তারপর জীবনে অন্য কিছু করতে হয়। আমার আজকের এই পোস্টটি আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন। আমি আবারও সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব।