উক্তি

জীবনানন্দ দাশের উক্তি ও বাণী

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আমাদের এই নতুন আর্টিকেলটিতে আজকে আপনাদের স্বাগতম। আপনারা যারা অনুসন্ধান করে যাচ্ছেন জীবনানন্দ দাশের উক্তি ও বাণী সম্পর্কে জানার জন্য। তারা এই মুহূর্তে সঠিক জায়গাতেই এসেছেন। আমরা আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের উক্তি ও বাণী গুলো সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এখন পর্যন্ত পাননি বা দান্ত আগুরী তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি থেকে খুব সহজেই তুলে নিতে পারবেন।

জীবনানন্দ দাশ ছিলেন রূপসী বাংলার কবি তিনি তার কবিতা ও গল্পে অপরূপ প্রকৃতির রূপ তুলে ধরেন। তার লেখায় অপূর্ব বাংলার সৌন্দর্যের ছবি ভেসে উঠে। কবিতার ছন্দ ও উপাদান সমূহ বাংলার প্রকৃতি নিয়ে সংগ্রহ করে থাকেন। বাংলার প্রকৃতি তার অনুপ্রেরণা তিনি মানুষের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য বেশ কিছু উক্তি ও বাণী উল্লেখ করে গেছেন। আজকে আমরা আপনাদের মাঝে সেই সকল উক্তি ও বাণী তুলে ধরব।

জীবনানন্দ দাশের উক্তি

হিরো পাঠক বন্ধুরা আপনারা যারা জীবনানন্দ দাশের উক্তি ও বাণী অনলাইন অনুসন্ধান করে যাচ্ছেন তারা এই মুহূর্তে সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমরা আজকে আপনাদের জন্য জীবনানন্দ দাশের সেই উক্তিগুলো নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনার এখান থেকে আপনাদের পছন্দের উক্তিগুলো তুলে নিতে পারবেন।

1. শেষবার তার সাথে যখন হয়েছে দেখা মাঠের উপরে- বলিলাম- ‘একদিন এমন সময় আবার আসিয়ো তুমি- আসিবার ইচ্ছা যদি হয়- পঁচিশ বছর পরে।’

2. আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে নক্ষত্রের নিচে।

3. স্থবিরতা, কবে তুমি আসিবে বলো তো।

4. তবুও নদীর মানে স্নিগ্ধ শুশ্রূষার জল, সূর্য মানে আলো : এখনো নারী মানে তুমি, কত রাধিকা ফুরালো।

5. থমথমে রাত,- আমার পাশে বসল অতিথি,- বললে,- আমি অতীত ক্ষুধা,-তোমার অতীত স্মৃতি!

6. আজকে রাতে তোমায় আমার কাছে পেলে কথা বলা যেত; চারিদিকে হিজল শিরীষ নক্ষত্র ঘাস হাওয়ার প্রান্তর।

7. অপরাজিতার মতো নীল হয়ে- আরো নীল- আরো নীল হয়ে ,আমি যে দেখিতে চাই;- সে আকাশ…

8. চোখে তার যেন শত শতাব্দীর নীল অন্ধকার!

9. সারাটি রাত্রি তারাটির সাথে তারাটিরই কথা হয়, আমাদের মুখ সারাটি রাত্রি মাটির বুকের’পরে!

10. প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়, হয় নাকি?

11. কুড়ি বছরের পরে সেই কুয়াশায় পাই যদি হঠাৎ তোমারে!

12. যে নদী হারায়ে যায় অন্ধকারে –রাতে – নিরুদ্দেশে, তাহার চঞ্চল জল স্তব্ধ হয়ে কাঁপায় হৃদয়!

13. তোমার পাখনায় আমার পালক, আমার পাখনায় তোমার রক্তের স্পন্দন।

14. শরীর রয়েছে, তবু মরে গেছে আমাদের মন! হেমন্ত আসেনি মাঠে ,- হলুদ পাতায় ভরে হৃদয়ের বন!

15. পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন; মানুষ তবুও ঋণী পৃথিবীরই কাছে।

16. সব ছেড়ে দিয়ে আমি তোমারে একাকী ভালোবেসে তোমার ছায়ার মতো ফিরিয়াছি তোমার পিছনে!

17. সকল কঠিন সমুদ্রে প্রবাল লুটে তোমার চোখের বিষাদ ভৎসনা. প্রেম নিভিয়ে দিলাম, প্রিয়।

18. অর্থ নয়, র্কীতি নয়, সচ্ছলতা নয়- আরো এক বিপন্ন বিস্ময় আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে খেলা করে ,আমাদের ক্লান্ত করে; ক্লান্ত ক্লান্ত করে:

19. আজো আমি মেয়েটিকে খুঁজি; জলের অপার সিঁড়ি বেয়ে কোথায় যে চলে গেছে মেয়ে।

জীবনানন্দ দাশের বাণী

প্রতিটি কবি ও সাহিত্যিক মানুষের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য বেশ কিছু বানী উল্লেখ করে থাকেন। আর আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে জীবনানন্দ দাশের বাণী গুলো উল্লেখ করেছি। আপনারা আমাদের এই আর্টিকেল থেকে বেছে বেছে সুন্দর বাণী গুলো তুলে নিতে পারবেন।

 প্রেম ধীরে মুছে যায়,
নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়,
হয় নাকি?

 তোমার মুখের রূপ কত শত শতাব্দী আমি দেখি না
খুঁজি না।

 শরীর রয়েছে, তবু মরে গেছে আমাদের মন!
হেমন্ত আসেনি মাঠে ,- হলুদ পাতায় ভরে হৃদয়ের বন!

 চোখে তার
যেন শত শতাব্দীর নীল অন্ধকার!

 পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন;
মানুষ তবুও ঋণী পৃথিবীরই কাছে।

 আজো আমি মেয়েটিকে খুঁজি;
জলের অপার সিঁড়ি বেয়ে
কোথায় যে চলে গেছে মেয়ে।

 আজকে রাতে তোমায় আমার কাছে পেলে কথা
বলা যেত; চারিদিকে হিজল শিরীষ নক্ষত্র ঘাস হাওয়ার প্রান্তর।

 শেষবার তার সাথে যখন হয়েছে দেখা মাঠের উপরে-
বলিলাম- ‘একদিন এমন সময়
আবার আসিয়ো তুমি- আসিবার ইচ্ছা যদি হয়-
পঁচিশ বছর পরে।’

 থমথমে রাত,- আমার পাশে বসল অতিথি,-
বললে,- আমি অতীত ক্ষুধা,-তোমার অতীত স্মৃতি!

১০ আমরা হেঁটেছি যারা নির্জন খড়ের মাঠে পউষ সন্ধ্যায়, দেখেছি মাঠের পারে নরম নদীর নারী ছড়াতেছে ফুল কুয়াশার কবেকার পাড়াগার মেয়েদের মতো যেন হায় তারা সব আমরা দেখেছি যারা অন্ধকারে আকন্দ ধুন্দুল জোনাকিতে ভরে, গেছে; যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *