Skip to content
Home » ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম 2023 প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও পদ্ধতি

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম 2023 প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও পদ্ধতি

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

ড্রাইভিং লাইসেন্স হচ্ছে একটি দলিল স্বরূপ। তার মাধ্যমে গাড়িটি নিজস্ব মালিকনায় থাকে। আর এতে করে সুবিধা হয় গাড়ির মালিক নির্ধারণ করা। তাই ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে সে গাড়ির যদি কখনো হারিয়ে যায় তাহলেও সে গাড়ি খুঁজে পেতে সমস্যা হয়। তাই ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে গাড়ির নির্দিষ্ট একটি নাম্বার থাকে যে নাম্বারের সাথে গাড়ির মালিকের পরিচয় দেওয়া থাকে এতে করে গাড়ি কোন সমস্যা হলেও মালিককে খুঁজে পাওয়া খুবই সহজ হয়ে যায়।

আপনারা যারা ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চাচ্ছেন কিন্তু কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হয় সেটা জানেন না। তাই অনলাইনে অনুসন্ধান করে যাচ্ছেন ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম জানার জন্য। আর আমি আপনাদের সাহায্য করার জন্য আজকের এই পোস্টটি লিখেছি। আমি আজকে আমার এই পোস্টটিতে কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হয় সে সকল নিয়ম-কানুন নিয়ে আলোচনা করেছি। আমার এই পোস্টে থেকে আপনার খুব সহজেই জানতে পারবেন কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হয়।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার খরচ

ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে খুব বেশি একটা খরচ হয় না। কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্সটা আপনার করা খুবই জরুরী। তাই খরচ বিচার করে ড্রাইভিং লাইসেন্সের মান বিচার করা যায় না। আমি নিচে জানিয়ে দিয়েছি ডেইলি লাইসেন্স করার খরচ কত হতে পারে।

  • আপনি যদি ড্রাইভিংয়ে একদম নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনি লাইসেন্স করার ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন ক্যাটাগরি ১ কে। ক্যাটাগরি ১ এ লাইসেন্স করতে হলে আপনাকে খরচ করতে হবে ৩৪৫ টাকা।

  • আপনি যদি ড্রাইভিংয়ে কিছুটা অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকেন তাহলে আপনি বেছে নিতে পারেন ক্যাটাগরি ২ এ। ক্যাটাগরি ২ এ আপনি রেজিস্ট্রেশন করতে হলে আপনার খরচ পড়বে  ৫১৮ টাকা।

  •  আপনি যদি পেশাদার হিসেবে ড্রাইভার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি মাসিক ১৬৮০ টাকা চার্জ হিসেবে কাটা হবে।

  •  আপনি যদি অপেশাদার হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে ২৪৪২ টাকা জমা দিতে হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম 2023

ড্রাইভিং লাইসেন্স একেক বছরে একেক রকম করে করতে হয়। প্রতিবছর ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়। আমি আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২২।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

ড্রাইভিং লাইসেন্স দুইভাবে করা যায়। আর আমি দুই ভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের করার নিয়ম গুলো নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। দুইভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করা যায় এক হচ্ছে অফলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করা আর দুই হচ্ছে অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করা। আপনার নিচের নিয়ম গুলো দেখে নিন।

অফলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

অফলাইনে কিভাবে ড্রাইভিং শেষ করবেন এটা নিয়ে অনেককেই চিন্তা করছেন। কিন্তু আপনারা খুব সহজেই অফলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারবেন। আমি আপনাদেরকে অফলাইনে কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হয় সে সকল নিয়মকানুন বিস্তারিত তুলে দিয়েছি। এখান থেকে দেখে আপনারা খুব সহজেই অফলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারবেন।

  • প্রথমে আপনাকে বিআরটিএ(BRTA) অনুমোদিত অফিস সমূহে যেতে হবে।

  • আপনার সাথে করে এনআইডি /জন্ম নিবন্ধন/পাসপোর্টের ফটোকপি নিয়ে যেতে হবে।

  • সাথে অবশ্যই নিতে হবে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

  • অনুমোদিত যেকোনো রেজিস্ট্রার্ড ডাক্তার কর্তৃক সনদপত্র।

  • কর্তৃপক্ষ থেকে আপনাকে একটি ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে।

  • ফর্মে উল্লেখিত তথ্যাদি পূরণ করে আপনাকে ব্যাংক বরাবর আপনি যে লাইসেন্স করতে চান তার উপর নির্ভর করে অর্থ প্রদান করবেন।

  • অভিজ্ঞতা হিসেবে ড্রাইভিং শেখার ৩ মাসের অধিক ড্রাইভিং করার সনদের পাশাপাশি  আপনাকে লিখিত এবং মৌলিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

  • সকল তথ্যাদি পূর্ণ করে নির্ধারিত ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে সেই রশিদ সহ ফর্ম পূরণ করে কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিতে হবে।

  • আপনার তথ্যাদি যাচাই বাছাই করে নির্ধারণ করা হবে আপনি যোগ্য কিনা।

অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করা এখন ঘরে বসেই। এখন মানুষ ঘরে বসেই অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারে। সেক্ষেত্রে অনলাইনে এর ফরম পূরণ করতে হয়। আপনার কিভাবে অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত আমি নিচে তুলে ধরেছি। আপনারা নিচে থেকে জেনে নিন কিভাবে অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হয়।

  • প্রত্যমে আপনাকে আপনার নিকটস্থ কম্পিউটার দোকানে গিয়ে কিংবা আপনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কিংবা ল্যাপটপ থেকে যেতে হবে নিচের লিংকে

  • www.brta.govt.com

  • লিংকে গিয়ে প্রথমে আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/জন্মনিবন্ধন এর স্ক্যানকপি সহ ফরম এ তথ্যাদির স্থানে পূরণ করতে হবে।

  • ফর্ম এর সাথে জমা দিতে হবে ২ কপি ছবি। তবে ছবির ক্ষেত্রে ছবির আয়তম অবশ্যই ৩০০×৩০০ হতে হবে।

  • বাংলাদেশ সরকারের অধীনস্থ যেকোনো মেডিকেল অফিসার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট ফাইল এর স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে।  ফাইল সাইজ ৩০০ এর কিলোবাইটের বেশি হওয়া উচিত নয়।

  • এই সকল তথ্যাদির পাশাপাশি আপনি কোন ধরণের ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চাচ্ছেন তার ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে প্রয়োজনীয় টাকা প্রদত্ত ব্যাংকে এ জমা দিয়ে প্রাপ্ত রশিদের স্যান কপি পূরণ করতে হবে।

  • ড্রাইভিং লাইসেন্সের এর জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই পূর্বে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হবে। লাইসেন্স করতে হলে  হবে এ,তার জন্য নূন্যতম ড্রাইভিং ৩ মাস শেখার সনদ এর পাশাপাশি লিখিত, মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

  • সকল তথ্যাদি পূরণ করতে আপনাকে সাবমিট করতে হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম

ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গেলে কতগুলো ফরম পূরণ করতে হয়। আরে ফর্ম গুলো আপনি অনলাইন কিংবা অফলাইন দুই ভাবেই করতে পারবেন। তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী তারা দুইভাবের যেভাবে পারে সেই ভাবেই ড্রাইভিং লাইসেন্স ফর্ম গুলো পূরণ করে জমা করতে হবে।

অনলাইন ফরম

অনলাইনে আপনি খুব সহজে আপনার ফরমগুলো পূরণ করতে পারবেন। অনলাইনে ফরম পূরণ করলে সেটা অনলাইনে আবেদন করতে হয়।

অফলাইন ফরম

অফলাইনে পূরণ করতে গেলে আপনাকে সে ফরমটি জমা করতে হবে। আরে ফর্মটি নির্দিষ্ট জায়গায় জমা না পড়লে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারবেন না। তাই অফলাইনে ফরম পূরণ করার পর সে ফর্মটি আপনাকে জমা করতে হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য আপনাকে কতগুলো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা করতে হবে। আর এইসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হলো।

১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন অনলাইনে আবেদন।
২। আবেদনকারীর ছবি [ছবির সাইজ সর্বোচ্চ ১৫০ কেবি (৩০০ x ৩০০ পিক্সেল)]
৩। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি)।
৪। জাতীয় পরিচয়পত্রের স্ক্যান কপি (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি)
৫। ইউটিলিটি বিলের স্ক্যান কপি (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি), [ আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা যদি ভিন্ন হয় তবে বর্তমান ঠিকানার ইউটিলিটি বিল সংযুক্ত করতে হবে ]
৬। বিদ্যমান ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্ক্যান কপি [ ড্রাইভিং লাইসেন্সের নবায়ন/শ্রেণী পরিবর্তন/শ্রেণী সংযোজন/ লাইসেন্সের ধরণ পরিবর্তণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ] (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি)
৭। অনলাইনে আবেদন দাখিলের সময় ভুয়া তথ্য প্রদান করা হলে তার লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৮। নির্ধারিত ফী, ১ ক্যাটাগরি-৩৪৫/-টাকা ও ২ ক্যাটাগরি-৫১৮/-টাকা অনলাইনে পরিশোধ।

উপসংহার

পরিশেষে বলতে চাই এই বর্তমান যুগে এসে প্রত্যেকেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা একান্ত প্রয়োজন। আর যারা ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে করতে হয় সেটা জানে না আমি তাদের কে জানানোর জন্য আজকের এই পোস্টটি লিখেছি। আপনারা যদি আমার এই পোস্টটি থেকে খুব সহজে ড্রাইভিং লাইসেন্স করা পদ্ধতি গুলো জানতে পারেন তাহলে আপনাদের আশেপাশের সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন। তাদের সাথে শেয়ার করুন যারা এখন পর্যন্ত কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হয় সেটা জানতে পারেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *