শবে বরাতের জন্য কি রোজা রাখা বাধ্যতামূলক?
বন্ধুগণ আশা করছি আপনারা সবাই ভাল আছেন আজকে অনেকেরই মনের একটি প্রশ্ন নিয়ে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটি সাজিয়েছে। আর এই প্রশ্নটা বিশেষ করে মুসলিম জাতিদের মনে বেশি আসে। তাই আমরা আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে আলোচনা করেছি শবে বরাতের জন্য কি রোজা রাখা বাধ্যতামূলক কিনা? অনেকেরই একটি প্রশ্ন থাকে যে এই দিনটি রোজা রাখা বাধ্যতামূলক। তবে কুরআনের শবে কদ নামক মহিমানিত রাতের কথা ভালোভাবে উল্লেখ করা থাকলেও শবে বরাতের সম্পর্কে তেমন কোন কিছু বলা হয়নি।
আর তাই আমরা আজকে আমাদের এই আলোচনায় আলোচনা করেছি শবে বরাতের জন্য কি রোজা রাখা বাধ্যতামূলক কিনা সেই সম্পর্কিত একটি আলোচনা। আপনারা যারা শবে বরাত নিয়ে জানতে আগ্রহী এবং শবে বরাতের রোজা রাখা বাধ্যতামূলক কিনা এ বিষয়গুলো জানতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগের সহিত শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
শবে বরাতের জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক কিনা
দেখা যাচ্ছে বর্তমান সময়ে অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে যে শবে বরাতের দিন রোজা রাখা বাধ্যতামূলক। তবে কুরআনের সাবেক কদর নামক মহিমানিত রাতের কথা ভালোভাবে উল্লেখ করা থাকলেও শবে বরাতের সম্পর্কে তেমন কিছু বলা হয়নি। রমজান মাসের আগে এই দিনটি আমাদের রমজানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় আর তাছাড়া আমাদের প্রিয় নবী শাবান মাসে রোজা রাখতেন।
তাই নির্দিষ্ট করে কেবলমাত্র শবে বরাতের দিনে রোজা রাখার বিষয়টা কোথাও উল্লেখ নেই মূলত সবার উচিত শাওন মাসে ঘন ঘন রোজা রাখার চেষ্টা করা। তবে শবে বরাতের রাতে ইবাদাতে মগ্ন থাকা যেতে পারে। এই দিনটিতে মানুষ রাত জেগে আল্লাহর ইবাদত করে নামাজ কালাম পড়ে রাতে কাটিয়ে দেয়।
শবে বরাত নিয়ে কিছু তথ্য
শবে বরাত শব্দটি বাংলাদেশের পরিচিত একটি শব্দ কেননা অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মুসলমানের সংখ্যা অনেক বেশি আর এই দেশটি একটি মুসলিম দেশ। তবে অন্যান্য সব দেশে শবেবরাতকে এই নামে ডাকা হয় বা বিশেষ করে আরব দেশগুলোতে শবে বরাত কে লাইলাতুল বরাত বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। আবার আরবিতে লাইলাতুল বরাত অর্থই বাংলায় শবে বরাত আবার দক্ষিণ কোরিয়ায় মানুষজন আমাদের মত শবে বরাত নামে হিসেবে ডাকতে থাকে।
শবে বরাতের বিশেষভাবে করণীয়
শবে বরাতে রাতে বিশেষভাবে রাব্বুল আলামিনের ইবাদতে মগ্ন থাকা উচিত। একদিন আল্লাহর দরবারে নিজের পরিবার আত্মীয় স্বজনসহ অন্যদের জন্য দয়া করা যেতে পারেন বেশি করে পবিত্র আল-কুরআন তিলাওয়াত করা যেতে পারে সবমিলিয়ে দিনটি আল্লাহর ধ্যানে কাটিয়ে দেওয়া উচিত। এই দিনটিতে আল্লাহতালা তার বিশেষ ইবাদতকে খুব সহজে গ্রহণ করে থাকেন।
পরিশেষে বলা যায় শবে বরাত একটি মুসলমানদের জন্য বিশেষ দিন তাই এই দিনটি মুসলমানরা বিভিন্নভাবে উদযাপন করে থাকে আল্লাহর ইবাদত করে এ রোজা রেখে এবং কেউ কেউ আবার রুটি হালুয়া দিয়ে।