আয়াতুল কুরসীর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের মাঝে পবিত্র কুরআনুল কারীম এর একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়াতের ফজিলত নিয়ে আলোচনা করব। যে আয়াত টির গুরুত্ব ও তাৎপর্য প্রতিটি মানুষের জীবনে ব্যাপক পরিমাণে রয়েছে। সূরা বাকারার একটি আয়াত হচ্ছে আয়াতুল কুরসি। এ আয়াতুল কুরসির ফজিলত ও তাৎপর্য একটি মুসলমানের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমার আপনাদের মাঝে আয়তুল কুরসি বাংলা উচ্চারণটি অত্যন্ত সহজ ও সাবলীন ভাষায় উপস্থাপন করব আজকের আমাদের এই আর্টিকেলটিতে। এই আমলটি করার মাধ্যমে মহান আল্লাহতালা আমলকারীকে অশেষ নেকি ও মর্যাদা দান করে থাকেন।
আয়াতুল কুরসি হচ্ছে সূরা বাকারার একটি অংশ। মানব জীবনে এত খুশির গুরুত্ব অনেক। মহান আল্লাহতালা আয়াতুল কুরসির আমলকারী কে অসংখ্য নেকি দান করে থাকেন আয়াতুল কুরসি এর অনেকগুলো আমল রয়েছে তর মধ্যে একটি আমল হচ্ছে হুজুর শুরুতে আতুর কুরসি তেলাওয়াত করলে মহান আল্লাহতালা তেলাওয়াতকারীকে দ্বিগুণ মর্যাদা দান করেন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজের শেষ আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত করবে সে ব্যক্তি মৃত ব্যক্তিত্ব জান্নাত যাওয়ার আর কোনো বাধা থাকবে না। তাই বলা যায় দৈনন্দিন জীবনে আয়তুল কুরসির ফজিলত খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ
অনেক দেখতে আসেন যারা কুরআন তেলাওয়াত করতে পারেন না। তাই তারা বাংলায় কুরআন তেলাওয়াত করে থাকেন। আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলটিতে নিয়ে এসেছি আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ। আপনারা যারা আয়তুল কুরসি বাংলায় পেতে চান তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। নিচে আয়তুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ অনুবাদ দেওয়া হল।
আয়াতুল কুরসি আরবি
আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ – Ayatul Kursi Bangla
আল্লাহু লা— ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্কাইয়্যুম,
লা- তা’খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম।
লাহু মা ফিসসামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্।
মান যাল্লাযী ইয়াশ ফাউ ইনদাহু— ইল্লা বি ইজনিহ,
ইয়া লামু মা বাইনা- আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম,
ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম্ মিন ইল্ মিহি— ইল্লা বিমা শা’—-আ,
ওয়াসিয়া কুরসি ইউহুস সামা ওয়াতি ওয়াল আরদ,
ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা
ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আযী-ম।
আয়াতুল কুরসি বাংলা অর্থ
আল্লাহ,তিনি ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক।
তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়।
আকাশ ও ভূমিতে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর।
কে আছে এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তার অনুমতি ছাড়া?
দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন।
তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু তা ব্যতীত – যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন।
তাঁর আসন সমস্ত আকাশ ও পৃথিবীকে পরিবেষ্টিত করে আছে।
আর সেগুলোকে ধারণ করা তার পক্ষে কঠিন নয়।
তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান