উক্তি

পহেলা ফাল্গুন নিয়ে উক্তি, কিছু কথা 2024

প্রিয় পাঠক আপনারা যারা পহেলা ফাল্গুন নিয়ে উক্তি কিছু কথা এসব অনলাইনে অনুসন্ধান করছেন। আজকে আমি তাদেরকে আমার এই আর্টিকেলটিতে স্বাগত জানাবো। আমার এই আর্টিকেলটির আজকের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে পহেলা ফাল্গুনের উক্তি কিছু কথা। আশা করছি আপনাদের আমারে আর্টিকেলটি খুবই ভালো লাগবে। আপনারা যারা সংগ্রহ করতে চান পহেলা ফাল্গুন নিয়ে উক্তি কিছু কথা তাদের জন্য আমার এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তাহলে আসুন আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং সংগ্রহে রাখুন পহেলা ফাল্গুন নিয়ে উক্তি ও কিছু কথা। প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন। তাই পহেলা ফাল্গুনের উক্তি গুলো পড়ে আপনারা আনন্দটুকু উপভোগ করুন। তাই আজকে আমি আমার এই আর্টিকেলটিতে সুন্দর সুন্দর কতগুলো পহেলা ফাল্গুন নিয়ে উক্তি উল্লেখ করেছি।

পহেলা ফাল্গুন নিয়ে কিছু কথা 2024

পহেলা ফাল্গুন বাংলার ঐতিহ্যের একটি অন্যতম দিন। আরে দিনটি সবাই পালন করার চেষ্টা করে। পহেলা ফাল্গুন পালনে সবাই উৎসাহ প্রকাশ করে আর এই পহেলা ফাল্গুন হচ্ছে অসম্প্রদায়িক অনুষ্ঠান। এটি হিন্দুধর্মে বেশি প্রচলিত হয়ে থাকে। প্রাচীন যুগ থেকে এ পহেলা উৎসব পালিত হয়ে আসছে। সাধারণত পহেলা ফাল্গুন হিন্দু বৈষ্ণবরা এটি বেশ আয়োজনের সাথে পালন করে থাকে।

পহেলা ফাল্গুন উৎসবের আনন্দে বসন্ত উৎসব বসন্ত উৎসব নিয়মিতভাবে আয়োজন করে থাকে। পয়লা ফাল্গুন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয় যখন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনের নৃত্যগীতের মাধ্যমে বসন্ত উৎসব পালন করে গেছেন। বঙ্গাব্দ চৌদ্দশ এক সাল থেকে বাংলাদেশ এ বসন্ত উৎসব রীতি চালু হয়। ঠিক তখন থেকেই বাংলাদেশের শুরু হয়ে যায় পহেলা ফাল্গুন উৎসব।

পহেলা ফাল্গুনের উক্তি

পহেলা ফাল্গুন অনুষ্ঠানটি সবাই ফুল দিয়ে পালন করে থাকে। আর এই ফুলকে ভালোবাসে না এমন মানুষ পৃথিবীতে পাওয়া খুবই দুষ্কর। পৃথিবীর বিশ্ব বিখ্যাত সাহিত্যিকগণ বিভিন্ন ভাবে পহেলা ফাল্গুনের উক্তি উল্লেখ করে গেছেন। আর আমি আজকে সেই উক্তি গুলো থেকে বেছে বেছে সুন্দর সুন্দর কতগুলো উক্তি নিয়ে আমার এই আর্টিকেলটিতে তুলে ধরেছি। আপনারা যারা উক্তি গুলি সংগ্রহ করতে চান তারা আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগের সহিত দেখতে থাকুন।

কি কর শ্বশুর মিছে খেটে ফাল্গুনে এঁটে পোত কেটে বেড়ে যাবে ঝাড়কি ঝাড় কলা বইতে ভাংগে ঘাড়।
– ক্ষণা

চৈতে গিমা তিতা, বৈশাখে নালিতা মিঠা, জ্যৈষ্ঠে অমৃতফল আষাঢ়ে খৈ, শায়নে দৈ। ভাদরে তালের পিঠা, আশ্বিনে শশা মিঠা, কার্তিকে খৈলসার ঝোল, অগ্রাণে ওল। পৌষে কাঞ্ছি, মাঘে তেল, ফাল্গুনে পাকা বেল।
– ক্ষণা

প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ফাল্গুনে শুরু হয় গুনগুনানী, ভোমরাটা গায় গান ঘুম ভাঙানি
– ফররুখ আহমেদ

সূর্য-ঘড়ি সাত সকালে, ফাগুন রাঙ্গা শাড়ি পড়ে দিন গোনে আজ কার? বাসন্তিরা সবুজ টিপে, লাল সাদা আর হলুদ পাড়ে হাত ধরেছে তার
– সংগৃহীত

আজি এ বসন্ত দিনে বাসন্তী রঙ ছুয়েছে মনে; মনে পরে তোমাকে ক্ষণে ক্ষণে চুপি চুপি নিঃশব্দে সঙ্গোপনে
– সংগৃহীত

মনের আকাশে ঐ ফাগুন; পিয়াসী পাখি উড়ে যায় সুদূরেতে, কার যেছায়া মাখি!
– সংগৃহীত

ফাগুনের রঙে রেঙেছো তুমি, না বলা কথা আজ বলবো আমিঃ হৃদয়ের ডাক শুনবে কি তুমি?
– সংগৃহীত

ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত
– সুভাষ মুখোপাধ্যায়

ফাগুন, হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দানঃ তোমার হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দানঃ আমার আপনহারা প্রাণ; আমার বাঁধন ছেঁড়া প্রাণ
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ফাগুনের নবীন আনন্দে গানখানি গাঁথিলাম ছন্দে; দিল তারে বনবীথি কোকিলের কলগীতি, ভরি দিল বকুলের গন্ধে
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ফাল্গুনে বিকশিত কাঞ্চন ফুল , ডালে ডালে পুঞ্জিত আম্রমুকুল । চঞ্চল মৌমাছি গুঞ্জরি গায় , বেণুবনে মর্মরে দক্ষিণবায়
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

স্পন্দিত নদীজল ঝিলিমিলি করে , জ্যোৎস্নার ঝিকিমিকি বালুকার চরে । নৌকা ডাঙায় বাঁধা , কাণ্ডারী জাগে , পূর্ণিমারাত্রির মত্ততা লাগে
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

খেয়াঘাটে ওঠে গান অশ্বথতলে , পান্থ বাজায়ে বাঁশি আন্মনে চলে । ধায় সে বংশীরব বহুদূর গাঁয় , জনহীন প্রান্তর পার হয়ে যায়
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

দূরে কোন্ শয্যায় একা কোন্ ছেলে বংশীর ধ্বনি শুনে
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বিহুরে লগন মধুরে লগন, অকাশে বাতাসে লাগিল রে চম্পা ফুটিছে চামলী ফুটিছে, তার সুবাসে ময়না আমার ভাসিল রে
– সংগৃহীত

হলুদ বরন মেঘলা এ তার যৌবন উছলায় লাল ওরনার আড়াল দিয়া চক্ষু দুটি চায় খোপায় টগর ময়না বুঝি আমায় খুঁজে হায় বসন্তে এ বিহুর লগন উত্তাল হয়ি যায়
– সংগৃহীত

বিহুরে লগন মধুরে লগন, অকাশে বাতাসে লাগিল রে নাচিতে নাচিতে তার ভরা যৌবন বিহুর সাজে সবার মাঝে অসিল রে
– সংগৃহীত

তাহার নাচ দেখি অমার অঙ্গ অবস হয় ঢোলের কাঠি দুহাত থিকে অপনি খসি যায় জগত জুড়ি বিহুর পরব খুসি জে ছড়ায় বসন্তে এ বিহুর লগন উত্তাল হয়ি যায়
– সংগৃহীত

আমাকে পাবে না খুঁজে, কেঁদে কেটে মামুলি ফাল্গুনে
– হেলাল হাফিজ

বসন্ত এলো এলো এলোরে পঞ্চম স্বরে কোকিল কুহুরে মুহু মুহু কুহু কুহু তানে মাধবী নিকুঞ্জে পুঞ্জে পুঞ্জে ভ্রমর গুঞ্জে গুঞ্জে গুনগুন গানে
– কাজী নজরুল ইসলাম

হয়তো ফুটেনি ফুল রবীন্দ্রসঙ্গীতে যত আছে, হয়তো গাহেনি পাখি অন্তর উদাস করা সুরে বনের কুসুমগুলি ঘিরে। আকাশে মেলিয়া আঁখি তবুও ফুটেছে জবা, দূরন্ত শিমুল গাছে গাছে, তার তলে ভালোবেসে বসে আছে বসন্ত পথিক
– নির্মলেন্দু গুণ

একঝাক পাখি এসে ঐকতানে , গান গায় এক সাথে ভোর বিহনে, অচানক দুনিয়াটা আজব লাগে, আড়মোড়া দিয়ে সব গাছেরা জাগে, লাল নয় কালো নয় সবুজ পাতা, জেগে ওঠে একরাশ সবুজ পাতা
– ফররুখ আহমেদ

হে কবি! নীরব কেন-ফাল্গুন যে এসেছে ধরায়, বসন্তে বরিয়া তুমি লবে না কি তব বন্দনায়?
– সুফিয়া কামাল

কহিল সে স্নিগ্ধ আঁখি তুলি- দখিন দুয়ার গেছে খুলি? বাতাবী নেবুর ফুল ফুটেছে কি? ফুটেছে কি আমের মুকুল? দখিনা সমীর তার গন্ধে গন্ধে হয়েছে কি অধীর আকুল?
– সুফিয়া কামাল

এখনো দেখনি তুমি?” কহিলাম “কেন কবি আজ এমন উন্মনা তুমি? কোথা তব নব পুষ্পসাজ?
– সুফিয়া কামাল

তরী তার এসেছে কি? বেজেছে কি আগমনী গান? ডেকেছে কি সে আমারে? -শুনি নাই,রাখিনি সন্ধান
– সুফিয়া কামাল

 

কহিলাম “ওগো কবি, রচিয়া লহ না আজও গীতি, বসন্ত-বন্দনা তব কণ্ঠে শুনি-এ মোর মিনতি।” কহিল সে মৃদু মধুস্বরে- “নাই হ’ল, না হোক এবারে- আমার গাহিতে গান! বসন্তরে আনিতে ধরিয়া- রহেনি,সে ভুলেনি তো, এসেছে তো ফাল্গুন স্মরিয়া
– সুফিয়া কামাল

কহিলাম “ওগো কবি, অভিমান করেছ কি তাই? যদিও এসেছে তবু তুমি তারে করিলে বৃথাই।” কহিল সে পরম হেলায়- “বৃথা কেন? ফাগুন বেলায় ফুল কি ফোটে নি শাখে? পুষ্পারতি লভে নি কি ঋতুর রাজন? মাধবী কুঁড়ির বুকে গন্ধ নাহি? করে নি সে অর্ঘ্য বিরচন?
– সুফিয়া কামাল

হোক, তবু বসন্তের প্রতি কেন এই তব তীব্র বিমুখতা?” কহিলাম “উপেক্ষায় ঋতুরাজে কেন কবি দাও তুমি ব্যথা?” কহিল সে কাছে সরি আসি- “কুহেলী উত্তরী তলে মাঘের সন্ন্যাসী- গিয়াছে চলিয়া ধীরে পুষ্পশূন্য দিগন্তের পথে রিক্ত হস্তে। তাহারেই পড়ে মনে, ভুলিতে পারি না কোন মতে
– সুফিয়া কামাল

হেরো পুরানো প্রাচীন ধরণী হয়েছে শ্যামল-বরনী, যেন যৌবন-প্রবাহ ছুটিছে কালের শাসন টুটাতে; পুরানো বিরহ হানিছে, নবীন মিলন আনিছে, নবীন বসন্ত আইল নবীন জীবন ফুটাতে
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মধুর বসন্ত এসেছে মধুর মিলন ঘটাতে। মধুর মলয়-সমীরে মধুর মিলন রটাতে। কুহক লেখনী ছুটায়ে কুসুম তুলিছে ফুটায়ে, লিখিছে প্রণয়-কাহিনী বিবিধ বরন-ছটাতে
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

তোমার অশোকে কিংশুকে, অলক্ষ্য রঙ লাগল আমার অকারণের সুখে
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগুণ হবো
– জহির রায়হান

তোমার প্রজাপতির পাখা আমার আকাশ-চাওয়া মুগ্ধ চোখের রঙিন স্বপন মাখা । তোমার চাঁদের আলোয় মিলায় আমার দুঃখ-সুখের সকল অবসান
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *