কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
কিডনি রোগ এমন একটি রোগ যা প্রতিটি বয়সের মানুষের হতে পারে। আর আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হচ্ছে কিডনির যা না থাকলে আমরা আস্তে আস্তে মরনের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারি। পৃথিবীতে হাজারো মানুষ এই কিডনি রোগের শরণাপন্ন হয়ে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে। তাই এই ভয়াবহ রোগ থেকে বাঁচতে হলে আমাদের শরীরের সবারই সঠিকভাবে যত্ন নেওয়া উচিত।
আপনারা যারা কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানার জন্য অনলাইনে অনুসন্ধান করে যাচ্ছে আজকে আমি আমার এই নিবন্ধে এই কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনারা আমার এই নিবন্ধন থেকে কিডনি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এর প্রতিরোধ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমার এই নিবন্ধটির মনোযোগের সহিত পড়তে হবে।
একটু অসাবধানতার কারণে যে কোন বয়সেই কিডনি রোগে আক্রান্ত হতে পারবে। তাই কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ গুলো আমাদের আগে থেকেই জেনে রাখা উচিত। লক্ষণ বুঝতে না পারলে অনেক ক্ষেত্রেই মৃত্যুর মুখে সবাই ধরতে পারে। আপনার নিচে থেকে কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন।
কিডনির কাজ কি?
- প্রস্রাব তৈরি করে
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
- হাড় সুস্থ রাখতে সহায়তা করে
- পানি ও লবণের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে
- কিডনি ইরাইথ্রোপয়েটিন নামক হরমোন তৈরি করে যা শরীরে রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে।
- শরীরে নানা রকম ক্রিয়ার ফলে রক্তে জমানো অপ্রজনীয় পদার্থ যেমন ইউরিয়া ,ক্রিয়েটিনিন ইত্যাদি প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়।
কিডনি রোগের কারণ
বিভিন্ন কারণে কি কি রোগ হতে পারে। কি কি কারণে কিডনি রোগ হতে পারে কারণ গুলো আমি নিচে আলোচনা করলাম। আপনার নিচে থেকে এই কারণগুলো জেনে নিন।
কি কারণে কিডনি রোগ হয়
কি কারণে কিডনি রোগের জন্ম সেটা আসলে সুনির্দিষ্ট বলা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তবে বলা যায় বিশেষ করে বারবার মূত্রনালীর সংক্রমণ কিডনিতে প্রদাহ করে কেমিক্যাল এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে কিডনি রোগের জন্ম হয়। এছাড়া যাদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিক থাকে তাদের এই রোগ টি বেশি হয়ে থাকে।
- গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ কিডনি রোগের প্রধান কারণ।
- নিয়মিত ও অনিয়ন্ত্রিত ভাবে ব্যথানাশক সেবন করা।
- রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত অনিয়মিতভাবে এন্টিবায়োটিক সেবন করা।
- কিডনিতে প্রদাহ।
- বংশগত কিডনি রোগ
- প্রস্রাবে ইনফেকশন ও বাধা জনিত সমস্যা।
- অতিরিক্ত ওজন
- কিডনিতে পাথর জনিত সমস্যা।
- ধূমপান।
- মাদক সেবন।
- খাদ্যে মিশ্রিত ভেজাল সামগ্রী গ্রহণ।
কিডনি রোগের লক্ষণসমূহ
কিডনি রোগ একটি নীরব। তত্ত্ব মতে বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটির অধিক লোক কোন না কোন কিছু রোগে আক্রান্ত। গত 10 বছর পূর্বে এদেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা ছিল 80 লক্ষ থেকে 1 কোটি। এখন তো অনেক বেশি। আমরা নিচে কিডনি রোগের লক্ষণ সমূহ আলোচনা করেছি।
- চোখের পাতা ও পা ফোলা
- ক্ষুধামন্দা ও বমি বমি ভাব হওয়া
- ক্রমান্বয়ে ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া
- রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া
- ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা/ঘুম ঠিক মতো না হওয়া
- কোমরে ব্যথা হওয়া
- চিন্তা শক্তি কমে যাওয়া
- গায়ের রঙ কালচে হয়ে যাওয়া
- রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
কিডনি রোগের চিকিৎসা
অ্যান্টিবায়োটিক
কিডনির রোগের সাধারণত্ব ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে ভালো হতে পারে। তবে দীর্ঘ মেয়াদী কিডনি রোগ নির্ণয়ের রক্ত প্রস্রাব কালচার এসবের প্রয়োজন হতে পারে।
নেফ্রোস্টোমি
এটি চামড়ার নিচে দিয়ে একটি ক্যাফে টিকেট নিতে পৌঁছানো হয় যার মাধ্যমে বিকল্প পথে প্রসব করানো যেতে পারে।
লিথোট্রিপসি
লিথোট্রিপসি উচ্চপ্রযুক্তির আল্ট্রাসনিক শব্দ পাথরকে ছোট করে বিশেষ ব্যবস্থায় বের করে আনা চিকিৎসা পদ্ধতিকে তৈরি করে।
নেফ্রেকটোমি
এটি একটি শল্যচিকিৎসা মাধ্যমে কিতনি অপসারণ কে বলে। কিডনিতে ক্যান্সার টিউমার বা অন্য কিছু হলে এই নেফ্রেক্টমি করা হয়।
ডায়ালাইসিস
যন্ত্রের সাহায্যে রক্ত পরিশোধন করার নামই হচ্ছে ডায়ালাইসিস। কিডনি রোগের একটি সেট চিকিৎসা হচ্ছে ডায়ালাইসিস।
কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট
কিডনি কি অকেজো হয়ে গেল কোন দাতা যদি কিডনি ট্রান্সফার করে তাহলে কিডনি একটি দিয়েই বাকী জীবন কাটানোর যেতে পারে।
আপনার নাম্বারে তথ্য থেকে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অন্যদের কাছে এই তথ্যগুলো শেয়ার করুন। আমি আবার আপনাদের মাঝে অন্য কোন তথ্য নিয়ে হাজির হবো সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন।