Skip to content
Home » জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য 2024

জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য 2024

জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ২০২২

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমরা আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য নিয়ে। আপনি কি ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বক্তব্য নিয়ে চিন্তিত আপনি কি এই দিবসটি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এখনই চলে আসুন আমাদের এই আর্টিকেলটিতে। আমরা আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে নিয়ে এসেছি শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে এবং ১৫ আগস্ট শোক দিবস সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা নিয়ে।

জাতীয় শোক দিবস প্রতিটি স্কুল কলেজ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এটি একটি কালো কাপড় দিয়ে শোক দিবস পালন করা হয়। নিচে জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য আলোচনা করা হলো।

জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য 2024

যতদিন রবে পদ্মা যমুনা
গৌরি মেঘনা বহমান,
ততকাল রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবুর রহমান
দিকে দিকে আজ রক্তগঙ্গা
অশ্রুগঙ্গা বহমান
তবু নাহি ভয় হবে হবে জয়
জয় মুজিবুর রহমান।

সম্মানিত সুধী,

আসসালামু আলাইকুম। আজ ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। আর আজ এই দিনটিকে আমরা বঙ্গবন্ধু সহ সম্পূর্ণ পরিবারকে হারিয়েছিলাম। এই দিনটি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। আরে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিল একদল নিষ্ঠুর ঘাতক গোষ্ঠী। কতটা নির্দয়ের নির্মম হলে এতটা জঘন্য কাজ করা যায় সেটা সেই ঘাতকায় বলতে পারবে। জেনে তাকে আমরা বুকে তুলে নিব যাকে আমরা মাথায় করে রাখবো তাকে কিভাবে হত্যা করেছিল এই নরক পিসা স্বার্থপর তার সাথে হারাতে হয়েছিল তার পরিবারকে।

সুধীবৃন্দ,

দিন চলে যায় বছর চলে যায় কিন্তু এই দিনটার কথা আমরা কখনোই ভুলতে পারিনা। এই দিন হচ্ছে আমরা আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়েছি সেই হৃদয়বিদারক মর্মান্তিক ঘটনাটি আমরা আজও আমাদের হৃদয়ে রেখে দিয়েছি। সেদিন কি ভুলবার নয় কেউ কথা বলতে পারেনি অবাক হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিল জাতির কর্ণধার কে হারিয়ে তারা আজ দিশেহারা।

সম্মানিত সুধী, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস আমরা এই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়েছি এবং তার পরিবারের সকলকে হারিয়েছি এই দিনটাতে। ১৫ আগস্ট শোক দিবস হ্যাঁ শোক দিবস এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেল হত্যা হয়েছিল। নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করেছিল বাঙালি জাতির কাছে সুখের দিন সুখের বর্ষা। তারা কি পেরেছে বঙ্গবন্ধুর সকল সন্তানকে হত্যা করতে না পারেনি আজ বাংলাদেশের বুকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাজারো সন্তান জীবিত রয়েছে।

সুধীবৃন্দ, বাংলাদেশের স্বাধীনতার অগ্রনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে পেরেছি আর সেই মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বারবার কারাগারে যেতে হয়েছিল। তাকে তার পরিজনের কাছ থেকে দূরে থাকতে হয়েছিল। ৩০ থেকে ৩৫ দিন তিনি কারাগারে ছিলেন। তার পুরস্কার হিসেবে আমরা কি দিয়েছি তাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে তার পরিবার এবং তাকে। শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বিচার হয়েছিল ৩৫ বছর সময় নিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই হত্যা করে সুষ্ঠু বিচার হয়েছিল।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করার জন্য দিতে হয়েছে লেখক প্রাণ। ইতি হয়েছে মা বোনের ইজ্জত। স্বাধীনতা টিকে রাখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সহ তার পরিবার সম্পূর্ণ তাজা রক্ত দিয়ে এ স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়েছে।

আজ এই পর্যন্ত আর বিস্তারিত না করি এই শোকের মাসে আমরা আসি সকলে প্রতিজ্ঞা করি বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলাদেশ গড়তে স্বপ্ন আমরা পূরণ করব। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য 2024

 

এখনও রক্তের রঙ ভোরের আকাশে।

পৃথিবীও বিশাল পাখায় গাঢ় রক্ত মেখে

কবে থেকে ভাসছে বাতাসে।

অপেক্ষায়- শব্দের- শব্দেই হবে সে মুখর- আরো একবার

জয় বাংলা ধ্বনি লয়ে যখন সূর্যের আলো তার

সম্মানিত দর্শক, আসসালামু আলাইকুম। শোকের মাস আগস্ট মাস। আজ এই শোকের মাসে এই অনুষ্ঠান ঠিক করার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। এই মাসটিতে আমরা আমাদের প্রাণের প্রিয় জাতির নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়েছি। আমাদের মাথার মুকুট হারিয়ে গেছে চিরতরে এই পৃথিবী থেকে। ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ এই দিনটিতে বঙ্গবন্ধু সহ তার সম্পূর্ণ পরিবার হত্যা হয়েছিল। তাই এই মাসটি আমাদের কাছে মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক।

যেদিন আকাশে ছিল না সূর্য সেদিন অন্তিম হয়ে গেছে বাঙালি সূর্য। বাঙালির হাসি মলিন হয়ে গেছে সেদিন। পুরো বাংলাদেশ সেদিন নিঃস্ব এবং হাহাকার কান্নার স্রোতে ভেসে গেছে জনতার চোখ। ১৫ই আগস্ট ১৯৭৬ সালের এই দিনটিকে ঘাতক দল নিশংসভাবে হত্যা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কি দোষ ছিল মানুষকে ভালোবাসেন বলে এটা কি দোষ হতে পারে কাঁধে কাঁধ মেলে চলাচল করলে। তার পরিবার কি দোষ করেছিল যে নিষ্ঠুর ভাবে তার সন্তানকে হত্যা করেছিল নিষ্পাপ শিশুটির কি দোষ ছিল।

১৯৭১ সালে ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিল তারিখ ডাকে সাড়া দিয়ে সম্পূর্ণ বাঙালি জাতি স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে 1971 সালের ২৫ শে মার্চের হাত দিয়ে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। কত মা বোনদের ইজ্জত, কত মা বোনদের রক্ত, কত মানুষের রক্ত । আমাদের এই স্বাধীনতায়। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি তাই স্বাধীন ভূকণ্ড বাংলাদেশ। বাংলাদেশ শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের পরে বাংলাদেশ শাসনের ভার গ্রহণ করেন তিনি এই দেশকে সোনার দেশে পরিণত করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন ঠিক এই সময়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট রাজাকার গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশংসভাবে হত্যা করে।

সুধীবৃন্দ, অনেক বছর পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বিচার শুরু হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে হত্যার সুষ্ঠুভাবে বিচার সম্পন্ন হয়েছিল। দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা বাঙালি জাতিকে উন্নতির পথ দেখানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নকে পূরণ করার কাজ করে যাচ্ছেন।
সম্মানিত সুধী, আজকের এই মহতী অনুষ্ঠানে আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। এতক্ষণ আপনারা যারা কষ্ট করে বসে আমারে বক্তব্য শুনছিলেন তাদের অনেক ধন্যবাদ। আজ এখানে শেষ করছি জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *