পায়েস রান্নার রেসিপি। পায়েস রান্নার সহজ উপায়।
সবারই পছন্দের খাবার পায়েস। পায়েস পছন্দ করে না খুব কম সংখ্যক লোকই আছে। আবার যদি হয় জন্মদিন তাহলে তো আর কথাই নেই। জন্মদিনে পায়েস না হলে জন্মদিন তাই মনে হয় অপূর্ণ থেকে যায়। জন্মদিনের পায়েস টা স্পেশাল না হলে কি জন্মদিন জমে উঠে।
সুপ্রিয় বন্ধুরা আমি আজকে আপনাদের জন্য আমার হাতে স্পেশাল পায়েস নিয়ে আলোচনা করব। আমার বিশ্বাস আমার হাতের পায়েস রেসিপি দেখে আপনারা যদি ঘরে বসে পায়েস রান্না করে খান তাহলে আপনাদের ভালই লাগবে। এখন অনলাইন অর্ডার নয় ঘরে বসেই সুন্দর সুন্দর সুস্বাদু খাবার মানুষ তৈরি করে খাচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পায়েস। পায়ের ছাড়া কোন অনুষ্ঠানে জমে না।
আপনারা যারা এখন পর্যন্ত জানেন না পায়েস কিভাবে রান্না করতে হয়? পায়েস রান্না করতে কি কি লাগে? তাদের জন্যই আমি আজকে আমার এই রেসিপিটি তৈরি করেছি। যারা আর পায়েস রান্না করা রেসিপি এপাশ বাস ঘুরছেন তারা আমার এই সাইটে চলে আসুন। খুব সহজেই আজকে আমি আপনাদের চালের পায়েস রান্নার রেসিপিটি শিখিয়ে দেব।
পায়েস রান্নার প্রয়োজনীয় উপকরণ
এখন অল্প সময়ের মধ্যে খুব সুস্বাদ্য পায়েস রান্না করতে পারবেন। এর জন্য বেশি কিছু আপনাকে খরচ করতে হবে না। আপনার সাধ্যের মধ্যেই আপনি সুস্বাদু পায়েস রান্না করে খেতে পারবেন। নিচে আমি পায়েস রান্নার উপকরণ সমূহ দিয়ে দিয়েছি। আর এই উপকরণসমূহ জানতে হলে আপনাকে শেষ পর্যন্ত আমার এই পোস্টটি মনোযোগের সহিত পড়তে হবে। পায়েস রান্নার উপকরণ সমূহ:
উপকরণ: দুধ ১ লিটার, সরু চাল ১০০ গ্রাম, দারুচিনি ১ ইঞ্চি, এলাচ ৩টি, তেজপাতা ২টি, চিনি স্বাদমতো, বাদাম, লবণ সামান্য।
পায়েস রান্নার প্রণালী
পায়েস রান্নার জন্য আপনি প্রথমে চালগুলো একটি পাত্রে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। চালটি ভিজিয়ে রাখলে আপনার চালটি সিদ্ধ হতে বেশি সময় লাগবে না। সে টি যদি হয় আতপ চাল তাহলে তো কোন কথাই নেই। এরপর পানি বসিয়ে দিন যদি আপনি শুধু দুধের পায়েস রান্না করতে চান তাহলে শুধু দুধ দিয়েই পারিসটা রান্না করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে পানি না দিয়ে দুধ বসিয়ে দিয়ে সেখানে চালগুলো ধুয়ে দিন। একবারে দুধ দিবেন না আস্তে আস্তে করে দুধ দেওয়া লাগবে না হলে দুধ উথলে উঠে যাবে আপনার চাল সিদ্ধ না হওয়ার আগেই দুধ পড়ে যাবে। তাই সামান্য দুধ দিয়েই আগে আপনাকে চারটি সিদ্ধ করে নিতে হবে। এখন আপনি পায়েসে তিন চার টুকরা দারুচিনি, ৩-৪ টা লং, ৩-৪ টা এলাচ দিয়ে দিবেন।
আপনি চাইলে সেখানে একটি তেজ পাতাও দিয়ে দিতে পারেন। এরপর আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সেখানে চিনি বা খেজুরের গুড় দিতে পারবেন। আপনি যদি চিনি দিয়ে খেতে চান তাহলে চিনি দেবেন গুড় দিয়ে খেতে চাইলে গুড় দিবেন। আপনার উপর নির্ভর করবে আপনি কি দিয়ে খাবেন। এভাবে ৩০ মিনিট চালানোর পর আপনি যদি নারিকেল কোয়া পায়েসের মধ্যে দিতে চান দিতে পারেন। এটা অবশ্য আপনার ইচ্ছের ওপর নির্ভর করবে অনেকে আছেন যারা নারিকেল কোয়া পছন্দ করেন না তারা এমনিতেও পায়েস রান্না করে খেতে পারেন।
এভাবে কিছুক্ষণ জ্বালাতে থাকুন আর নাড়তে থাকুন। নাড়তে নাড়তে যখন দেখবেন দুধ টেনে নিয়েছে বা চাল গলে নি আবার দুধ দিতে পারেন। যতক্ষণ পর্যন্ত চাল গোলে না যায় ততক্ষণ পর্যন্ত নাড়তে থাকুন আর দুধ দিতে থাকুন। এক সময় দেখবেন চাল আর বোঝা যাচ্ছে না দুধ চাল দুটো একসঙ্গে মিশে গেছে তখন বুঝবেন আপনার পায়েস একদম ঠিকঠাক হয়ে গেছে। এখন আপনি সুন্দরভাবে পায়েসটি পরিবেশন করতে পারবেন।
আপনাদের যদি আমার এই আজকে রেসিপিটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনি আমার পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। সুন্দর সুন্দর রেসিপি নিয়ে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব।