প্রবাস জীবন নিয়ে কিছু কথা 2022
প্রবাস জীবনটা যতটা না সুখের ততটাই কষ্টের। আপনজনদের ছেড়ে দূরে থাকা এটা ভেবে যেমন কষ্ট লাগে অন্যদিকে প্রবাস কথা শুনে মনের ভিতর একটু আনন্দ অনুভূতি হয়। আমরা যদি না জানি তাহলে তো আমরা বুঝতে পারবো না যে আমাদের দেশ থেকে যা প্রবাসীরা কিভাবে দিন কাটায় কিভাবে কোথায় থাকে কেমন ভাবে থাকে। আপনারা যদি এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
আমরা আজকে আপনাদের জন্য আলোচনা করব প্রবাসীদের জীবন নিয়ে কিছু কথা সম্পর্কে জানাতে। আমি পরিচয় দেবো আপনাদের মাঝে প্রবাসীদের জীবনের কাহিনী গুলো যেগুলো আপনারা এখন পর্যন্ত কেউ জানেন না। তাহলে আসুন প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা আজকে আর্টিকেলটি থেকে জেনে নিন কিভাবে প্রবাসীদের জীবন কাটে।
প্রবাসীদের জীবন নিয়ে কথা
আপনজনদের ছেড়ে দূরে পড়ে থাকা মানুষদের যে কষ্ট তা যারা থাকে তারাই শুধু উপলব্ধি করতে পারে। প্রবাস জীবন কতটা কষ্টে মানুষ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে যে একটা পরিবারের মধ্য দিয়ে থাকে সে পরিবারকে ছেড়ে আপনজনদের ছেড়ে বাবা-মা-ভাই-বোন এবং প্রতিবেশীদের ভালোবাসা আদর স্নেহ মায়া-মমতা এসব ছেড়ে দূরে থাকাটা তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ে।
যে পরিবারে বড় হয়ে থাকে, ভাই বোনদের ছেড়ে পাড়া-প্রতিবেশিতে ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনদের ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দেয় কাজের উদ্দেশ্যে। দায়িত্ব পালন করার জন্য এই পাড়ি দেওয়া তাদের জীবনের একটি বড় ধরনের ত্যাগ বলতে পারেন। কেননা সে সারাদিনে কর্মব্যস্ততায় খাবার নাও পেতে পারে কিন্তু ফোনে বলতে থাকে মা আমি ভালো আছি আমি খাইছি ঘুমাচ্ছি টেনশন করো না এরকম হাজারো মিথ্যে তাদের আপনজনদের তারা বলে থাকে। আর এই হাজারো মিথ্যার মাঝে থাকে তাদের পরিবারের প্রতি তাদের দায়িত্ব কর্তব্য।
এরকমই কষ্ট জীবনে টাকা পয়সা জমিয়ে দেশে বাবা-মা দে কাছে পাঠিয়ে দেয় কিন্তু সে খেলো কিনা তাও ভেবে দেখেনা। তাদের জীবন কাটে সংগ্রামে দিনরাত পরিশ্রম কিন্তু দিন শেষে তাদের কাছে তাদের উপার্জনের টাকা পায় তাদের সুখ।
প্রবাসীরা বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়তা করে
হাজারো কষ্টের মাঝে বেঁচে থাকা প্রবাসীরা যদিও তারা কষ্ট করে দেশে তাদের আত্মীয় স্বজনরা পরিজনরা প্রিয়জনরা কষ্ট করে কিন্তু তার পরেও বলা যায়। বলাবাহুল্য রাখে না কেননা প্রবাসীরা বাংলাদেশের সম্পদ। প্রবাসীরা তাদের দিনরাত পরিশ্রম করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে সেটাই বাংলাদেশ ব্যাংকের অবস্থান করছে। প্রায় এক কোটি মানুষ মধ্যপ্রাচ্য ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। তারা যে ডলার পাঠাচ্ছেন তাই দিয়ে আমাদের অর্থনীতিকে যুগ যুগ ধরে সম্মিলিত করে আসছে। তাই বলা বাহুল্য রাখে না এই প্রবাসীরা তাদের শ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশ অর্থনীতি আয়ের উৎস।
এসবের পরেও অনেকে আছে যারা প্রবাসীতে পছন্দ করেনা। তাদের সন্তানকে তুচ্ছ করে দেখে। এসবের পরেও যেমন তাদের অনেকে পছন্দ করে না ঠিক তেমনি কোন জায়গায় তাদের সম্মান আছে সেটাও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এয়ারপোর্টে হাজারো ঝামেলার মধ্য দিয়ে এরা কষ্ট করে বিদেশি প্রোডাক্ট নিয়ে আসে পরিবারের জন্য। আবার যখন প্রবাসীদের দেশে ফিরে আসার জন্য ভিসা রেনু করতে হয় তখনও হাজারো ঝামেলায় পড়তে হয় তাদের। তাদের সম্মান দিতে কেউ চায়না।
হাজারো দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে তারা প্রবাস জীবন কাটিয়ে থাকে। কেউ মনে করল না তারা কষ্ট পেলো কি সুখ পেল। হয়তো তারা শুধু চিন্তাই করে থাকে পরিবারের জন্য টাকা চাই পরিবারের ভালো চিকিৎসার জন্য টাকা চাই নয়তো ওই ব্যক্তি মারাও যেতে পারে। এসব ভেবেই তারা দিনরাত পরিশ্রম করে যায়। কেউ হয়তো এটা ভেবেই দেখেনা উন্নয়নের পিছনে প্রবাসীদের অবদান সবথেকে বেশি। তারা যদি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন না করতো তাহলে আজ দেশের কি হতো।
সর্বশেষে
সর্বশেষে বলা যায় প্রবাসীরা একমাত্র ব্যক্তি যারা বাংলাদেশের জন্য কিছু করে থাকে। তাই উচিত সর্বত্র খেয়াল রাখা প্রবাসীরা যেন কোথাও কোন সমস্যার সম্মুখীন না হয়। কোথাও যাতে তাদের ছোট হতে না হয় এসব দেখা সবারই দায়িত্ব।