বর্তমান যুগ আধুনিক যুগ। আর আধুনিক যুগে এসে প্রতিটি পরিবারের বৈদ্যুতিক আলো। প্রতিটা ঘরে ঘরে যেমন বৈদ্যুতিক আলো আছে ঠিক তেমনি অনেক পরিবারই আছে যারা এখন পর্যন্ত বিদ্যুতের সংযোগ নিতে পারেনি। অনেকে আছেন যারা কিভাবে বৈদ্যুতিক নতুন সংযোগ করবে সে পদ্ধতি গুলো জানা নেই। আসলে তারা জানে না বর্তমান যুগে বিদ্যুতের নতুন সংযোগ নেওয়া খুবই সহজ। এখন মানুষ খুব সহজে অনলাইনে মাধ্যমে বিদ্যুতের নতুন সংযোগের জন্য আবেদন করতে পারে।
আমি আজকে সেই সব মানুষদের জন্য এসেছি যারা এখন পর্যন্ত বিদ্যুতের নতুন সংযোগ পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন না। আমি আজকে আমার এই পোস্টটিতে আলোচনা করব বিদ্যুতের নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে।
কিভাবে নতুন বিদ্যুতের সংযোগ নিবেন
যারা নতুন বিদ্যুতের সংযোগ নিবেন কিন্তু সে সংযোগ কিভাবে নিবেন সেটা বুঝতে পারছেন না তারা আমার এই পোস্টটি থেকে খুব সহজেই নতুন বিদ্যুতের সংযোগ পদ্ধতি দেখে সেই অনুপাতে কাজ করলেই নতুন বিদ্যুতের সংযোগ নিতে পারবেন। আমি নিচ্ছে নতুন বিদ্যুতের সংযোগ কিভাবে নিবেন তা বিস্তারিত আলোচনা করলাম।
- প্রথমেই আবেদনকারীকে বিদ্যুৎ নতুন সংযোগ স্থাপনের জন্য উপজেলা জেলা বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে
- তারপর ক্যাট কাটায় সমীক্ষা ফি জমা দিন
- সমীক্ষাটি জমা দেওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধান ওয়ারিং পরিদর্শককে প্রাথমিক শিক্ষার দায়িত্ব প্রদান করবেন.
- প্রধান পরিদর্শক সমীক্ষা শেষে বিদ্যুৎ বিদ্যুত্ সংযোগের যথার্থ পাওয়া গেলে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহণ করে গ্রাহককে জানিয়ে দিবেন.
- পরবর্তীতে গ্রাহককে জানানো অনেক গ্রাহক ওয়ারিং সম্পাদন করবেন এবং ওয়ারিং যথার্থ আছে কিনা তা ওয়ারিং পরিদর্শক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করে রিপোর্ট প্রদান করবেন
- বিপরীতার্থক থাকলে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের জন্য গ্রাহককে ক্যাশ শাখায় নিরাপত্তা জামানত জমা করতে হবে
- অতঃপর গ্রাহকের প্রতিষ্ঠানেই মিটার প্রদান করে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হবে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে লাইন নির্মাণের জন্য সমীক্ষা করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান লাইন নির্মাণের নির্মাণ খরচ বহন করবেন
ফি সংক্রান্ত তথ্যাবলী
অনেকে আছেন যারা অনলাইন অনুসন্ধান করে যান নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য কত টাকা ফি হতে পারে সেটা জানার জন্য। তাই আমি আজকে আমার এই পোস্টে ভি সংক্রান্ত তথ্যাবলী গুলো তুলে ধরেছি।
- নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে প্রয়োজনীয় ফি লাগবেঃ ১০০-৩১২৫ টাকা
- বাড়ি/বাণিজ্যিক/দাতব্য প্রতিষ্ঠানে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন ফিঃ ১০০-২০০০ টাকা সমীক্ষা ফি জমা দিতে হবে।
- সেচ সংযোগের ক্ষেত্রে আবেদনের সাথে ২৫০ টাকা সমীক্ষা ফি জমা দিতে হবে।
- যেকোন ধরনের অস্থায়ী সংযোগের জন্য ১৫০০ টাকা ফি জমা দিতে হবে।
- শিল্পপ্রতিষ্ঠানে সংযোগের ক্ষেত্রে; জিপিঃ ২৫০০ টাকা এবং এলপিঃ ৫০০০ টাকা
- পোল স্থানান্তর/লাইন রুট পরিবর্তন/সমিতির মাধ্যমে স্থাপিত অন্য গ্রাহকের সার্ভিস ড্রপ স্থানান্তরের জন্যঃ ৫০০ টাকা
- নতুন সংযোগের জন্য জামানতের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা।
- ৫ কিলোমিটারের ঊর্ধ্বে সংযুক্ত লোড (কি.ও. অথবা কেভিএ × ০.৯০) × ৮ ঘণ্টা × ২৫ দিন × ২ মাস × বিদ্যুৎ মূল্য হার (টাকা/প্রতি কি.ও.ঘ. সেচ (অগভীর নলকূপ সংযোগের ক্ষেত্রে জামানতের পরিবর্তে অগ্রিম বিদ্যুৎ বিল (১২৫.০০ টাকা × ৫ মাস × অশ্বশক্তি) যেমন ৫ অশ্বশক্তি =১২৫ × ৫ × ৫ = ৩১২৫.০০ টাকা সর্বনিম্ন অগ্রিম বিদ্যুৎ বিল = ৩০০০.০০ টাকা)।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
নতুন বিদ্যুতের সংযোগের জন্য যেসব কাগজপত্র দরকার হবে সেসব কাগজপত্র আমি আমার এই পোস্টটিতে নিচে উল্লেখ করেছি। আপনারা আপনাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে খুব সহজে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে পারেন।
- নতুন সংযোগের জন্য আবেদনপত্রের সাথে নিম্নোক্ত দলিলাদি দাখিল করতে হবেঃ
- সংযোগ গ্রহণকারীর পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি সত্যায়িত ছবি
- জমির মালিকানা দলিলের সত্যায়িত কপি
- লোড চাহিদার কাগজপত্র
- জমি/ভবনের ভাড়ার দলিল (যদি প্রযোজ্য হয়)
- ভাড়ার ক্ষেত্রে মালিকের সম্মতিপত্রের দলিল
- পূর্বের কোনো সংযোগ থাকলে ঐ সংযোগের বিবরণ ও সর্বশেষ পরিশোধিত বিলের কপি
- অস্থায়ী সংযোগের ক্ষেত্রে গ্রাহক শ্রেণির বিবরণ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- ট্রেড লাইসেন্স (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- সংযোগস্থলের নির্দেশক নকশা
- শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের নিমিত্তে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন।
- পাওয়ার ফ্যাক্টর ইমপ্রুভমেন্ট প্লান্ট স্থাপন (শিল্প ও বৃহৎ বাণিজ্যিকের ক্ষেত্রে)
- বহুতল আবাসিক/বাণিজ্যিক ভবন নির্মাতা ও মালিকের সাথে ফ্ল্যাট মালিকের চুক্তিনামার
উপসংহার
এ আধুনিক যুগে এসে বৈদ্যুতিক আলো সবার ঘরে ঘরে। তাই এ বুদ্ধি ঠিক আলো সবার ঘরে চলার জন্য এর নতুন সংযোগ কিভাবে নিতে হবে সেটাও জানা একান্ত প্রয়োজন। আর তাই আমি চেষ্টা করেছি আমার আজকের এই পোস্ট দিয়ে আপনাদের নতুন বিদ্যুতের সহজ কিভাবে করতে হয় সে তথ্যগুলি তুলে দেওয়ার। আমার এই তথ্যগুলি আপনাদের ভালো লাগলে সবার সাথে।