টিপস

মেকআপের পর মুখ কালো হয়ে যায়? এর থেকে বাচার কৌশল।

বর্তমান যুগে এসে সব মেয়েরাই একটু বাহিরে গেলে মুখে মেকআপ করে তারপর বাহিরে যেতে চায়। অনেক মেয়েরা আছে যারা সব সময় সাজগোজে পছন্দ করে। এই মেকআপ করার পর প্রায়ই দেখা যায় একটু পরেই মুখটা কালো হয়ে গেছি যেখানে মুগ আকর্ষণীয় হওয়ার বদলে মুখটা বিশ্রী দেখায়। আর এর মূল কারণ হচ্ছে ফাউন্ডেশন। ফাংশনের অক্সিডেশন না পেলে মুখটা কিছুক্ষণ পরেই বিশ্রী দেখায়।

তাই আমি আজকে আলোচনা করব মেকআপের পর মুখ কালো হয়ে যায় এর থেকে বাচার কৌশল নিয়ে। আপনারা যারা মেকআপ এরপর মুখ কালো হয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত হয়ে আছেন তারা আমার এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। দেখবেন আমার এই পোস্টটি থেকে আপনারা খুব সহজেই মেকআপ এরপর মুখ কালো হয়ে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন। আপনারা যারা অনলাইনে অনুসন্ধান করে যাচ্ছেন মেকআপের পর মুখ কালো হয়ে যাওয়ার সমাধান নিয়ে তারা আমার এ পোস্টটি থেকে জেনে নিন।

আপনি যখন আপনার মেকআপ এর সাথে স্কিন টাইপস ডে মিল রেখে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন তখন দেখা যাবে কিছুক্ষণ পরে আপনার মুখ কালো হয়ে যেতে পারে। কারণ আন্ডারসনের অয়েল ত্বকের সাথে পিএইচ ব্যালেন্স এর বিক্রিয়া করে। আর এর জন্য সূর্যের তাপের ফান্ডেশন ত্বকের সাথে বিক্রিয়া করতে পারে বলে মুখ ফান্ডেশন এর শেড বদলে কালো হয়ে যায়।

প্রথমে প্রাইমার

সাধারণত অনেকে আছে যারা প্রথমে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে। কিন্তু এটা ঠিক নয় এতে করে ফাউন্ডেশন এর রাসায়নিক এর সাথেই স্ক্রিনে ন্যাচারাল অয়েল এর বিক্রিয়া ঘটাতে পারে হলে একটু পরেই মুখটা কালচে হয়ে যায়। তাই আপনাকে প্রথমে প্রাইমার ব্যবহার করতে হবে যাতে ত্বকে একটি বেশ তৈরি হবে আর ফান্ডেশন স্থায়ীভাবে বসবে। তাহলে দেখা যাবে আপনার ত্বক আর সহজে কালো হয়ে যাবে না।

অনেকে ভাবে প্রাইমার অত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে না কিন্তু ত্বককে বেশিক্ষণ সুন্দর রাখার জন্য আপনাকে প্রথমে প্রাইমার ব্যবহার করতে হবে কেননা এটি অতিরিক্ত শ্রীরাম ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ত্বকের আদ্রতা বাড়ায়ে যা আপনার স্কিনটোন’ সমানভাবে উজ্জ্বল রাখে। এতে করে কোনো স্কিনের অয়েল ফান্ডেশন রাসায়নিকের সরাসরি সংস্পর্শে না আসে তাই স্ক্রিনটি আপনার রোগ থেকে রক্ষা করে। আর এই প্রাইমার কেনার আগে আপনি আপনার ত্বকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি প্রাইমার কিনবেন কেননা সূক্ষ্ম ত্বকের প্রাইমার যদি আপনি তৈলাক্ত ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে দেখা যাবে আপনার ত্বক সুন্দর হওয়ার পরিবর্তে সেটি আবার নতুন করে বিশ্রী হতে পারে।

সঠিক পদ্ধতিতে ফাউন্ডেশন ব্যবহার

প্রাইমার ব্যবহারের ফলে যেমন আপনার ত্বকে ফান্ডেশন কি সমানভাবে বসবে ঠিক তেমনি ফাউন্ডেশন ছাড়া মেকআপে গ্ল্যামারাস লুক টা আসবে না। আবার স্কিনটোন’ অনুযায়ী ফাংশন ব্যবহার না করলে মেকআপটা ভালো দেখাবে না। তাই আপনাকে আপনার ত্বকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি ভালো শেডের ফান্ডেশন আপনাকে কিনতে হবে। তবে বাজারে এখন বিভিন্ন রকম ফান্ডেশন পাওয়া যায় যেমন ফর্সা ত্বকের অধিকারীরা ত্বকের শেডের চাইতে এক কম এবং শ্যামলা বা কালো ত্বকের অধিকারীরা ত্বকের সেডের চাইতে এক বা দুই সেট উজ্জ্বল ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারবেন।

সঠিক পদ্ধতিতে ফাউন্ডেশন কিনতে দোকানে থাকতেই টেস্ট করে আপনি নিতে পারবেন আর এজন্য আপনাকে দোকানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে পরীক্ষা করার জন্য। আপনি আপনার শরীরে কোন জায়গায় যদি ফান্ডেশন মেখে দেখেন যে খুব তাড়াতাড়ি কালো হয়ে যাচ্ছে তাহলে বুঝবেন আপনার ওই ফান্ডেশন টি ভালো নয়। তাই আপনাকে অবশ্যই ভালো জিনিস টি বেছে নিতে হবে এবং সুন্দর করে ক্রীম মাখানোর মত ফোঁটা ফোঁটা করে পুরো ত্বকে লাগিয়ে নিতে হবে। আর এজন্য আপনি ক্রিমের নেয় ফান্ডেশন টেনিস থেকে উপরের দিকে খুব তাড়াতাড়ি করলে বেশি ভালো করতে পারবেন তাড়াহুড়ো করলে একদম ফাউন্ডেশন বসবে না কেননা তাড়াহুড়ো করে লাগালে ফাংশনটি সব হবে আর এর জন্য আপনাকে অবশ্যই আঙ্গুলের ডগা দিয়ে সুন্দর করে পুরো ত্বকে ম্যাসেজ করে নিতে হবে।

কনসিলার বেশি গাঢ় করবেন না

কনসিডার এর প্রধানত কাজ হচ্ছে আপনার চোখের বানাকে কাছে কোন দাগ থাকলে সেগুলো কে ঢেকে রাখা। তাই আপনাকে খুব হালকা করে এই কনসিলার টি লাগাতে হবে কেননা অতিরিক্ত কনসিলার লাগানোর আপনার কিন্তু কোন লাভ হবে না। বেশি গাড়ো করে কনসিলার লাগালে ত্বকের ওপর এই ফাটাফাটা ভাব চলে আসে যেখানে দাগ থাকতে যতোটুকু দরকার আপনি সেই জায়গাটিতে ততটুকু লাগিয়ে ভালো করে বের করে নিতে পারবেন। তাই আপনার মুখে ফাটা ফাটা ভাব আসার থেকে এড়িয়ে যেতে চাইলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কনসিলার লাগাবেন না।

শুষ্ক লিপস্টিক ব্যবহার করবেন না

ঠোঁট ফাটার সমস্যা থাকলে আপনাকে অবশ্যই ম্যাট লিপস্টিক এড়িয়ে চলতে হবে। কেননা শুষ্ক লিবিসটিক আপনার ঠোঁটকে বেশি করে কাটাতে সাহায্য করবে। তাই মেতের বদলে পেন্সিল ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করুন আপনার ঠোঁটকে সুন্দর ও সতেজ রাখুন।

সেটিং পাউডার ও সেটিং স্প্রে বেশি ব্যবহার করুন

আপনার মেকআপ করা হয়ে থাকলে আপনার সর্বশেষ যে ধাপটি আপনাকে করতে হবে সেটি হচ্ছে সেটিং পাউডার ও সেটিং স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত বা কমপ্লিট মেকআপ করলে কালচে দেখায় তাদের জন্য তো এই দুটো জিনিস অবশ্যই ব্যবহারের জন্য। কেননা ভালো মানের সেটিং পাউডার আপনার মেকআপ সেট করার পরে সেটিং স্প্রে দিয়ে মেকআপ লক করে নিবেন। তাহলে আপনার পাউডার না থাকলে মুখটি পাউডারী দেখাবে। সেটিং স্প্রে ব্যবহারের যে দেশটি ভাবটা আছে সেটা আপনার কেটে যাবে এবং আপনার ত্বককে গ্লোয়িং ইফেক্ট আনবে যে ভাবছি আপনার দিনভর মেকআপ কে সুন্দর রাখবে।

বেসিক স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলতে হবে

মুখের কালচে ভাব দূর করার জন্য আপনাকে সঠিকভাবে মেকআপ যেমন করতে হবে ঠিক তেমনি জরুরি স্কিনকে গভীর থেকে পরিষ্কার রাখা। অপরিষ্কার ত্বকে কোন ভাবেই মেকআপ করবেন না কেননা অল্পসময়ের মধ্যেই তা মুখে বিশ্রী করে তুলবে। তাই প্রথমে আপনাকে রুটিন মেনে মুখটাকে সুন্দর করে পরিষ্কার করতে হবে তারপর পরিষ্কার ত্বক কে মেকআপ পড়তে হবে।

আপনি যদি নিয়ম করে সপ্তাহে 2 দিন করে ক্লিনজিং টোনিং বা স্ক্রাবিং করেন তাহলে আপনার ত্বক কি রোদে পোড়া দাগ মেছতা দাগ ব্রণের দাগ থেকে দূরে থাকবে। তাই পরিষ্কার করে মুখ ধুয়ে আপনাকে বাইরে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন বা ছাতা ব্যবহার করতে হবে।

স্কিনের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রাখতে হবে

আপনি যখন মেকআপ করবেন তখন একটি অন্যতম কারণে আপনার ত্বক কালো হয়ে যেতে পারে কারণ স্ক্রিনের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক না রাখা। আর এজন্য আপনাকে অবশ্যই মেকআপ করার আগে ভাবতে হবে আপনার স্কিনের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক আছে কিনা। ভালো মানের দোলনার আপনার বলিরেখা দূর করতে এবং বাড়তি পরিচ্ছন্নতার নিশ্চিত করে আর এজন্য আপনাকে ময়লা মেকআপ এবং মৃত কোষ ঝরে গিয়ে ত্বক থাকে সজীব ও উজ্জ্বল এ ধরনের ব্যবহার করতে হবে।

উপসংহার

আপনারা যারা আমার এই পোস্টটি থেকে উপকৃত হয়েছেন তারা আমার এই পোস্টটি আপনাদের আশেপাশে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। যাতে করে তারাও তাদের জীবনের সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *