Skip to content
Home » মৌরিতানিয়া রমজানের রোজার সময়সূচি 2023 সেহরি ও ইফতারের

মৌরিতানিয়া রমজানের রোজার সময়সূচি 2023 সেহরি ও ইফতারের

মৌরিতানিয়া রমজানের রোজার সময়সূচি

মৌরিতানিয়া দেশটি উত্তর আফ্রিকার একটি দেশ। এ দেশের ভাষা হচ্ছে আরবি এবং অন্যান্য ভাষা ফরাসি রয়েছে। এই দেশে সকল মানুষ ধর্মপ্রাণ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কাজ করে থাকে। তাই এদেশের প্রতিটি মানুষই প্রায় রোজা পালন করে। রোজা সঠিকভাবে পালন এর উদ্দেশ্যে তারা সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি জানান জন্য অনলাইনে অনুসন্ধান করে থাকে।

মৌরিতানিয়া দেশটির আয়তন 10 লক্ষ 30 হাজার কিলোমিটার। এই দেশের জনসংখ্যা প্রায় 41 লাখ 82 হাজার 348 জন। এই জনসংখ্যার অধিকাংশ মানুষই সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি দেখে রোজা পালন করে থাকে। আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি নিয়ে আলোচনা করেছি।

মৌরিতানিয়া রমজানের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ক্যালেন্ডার

আপনারা যারা মৌরিতানিয়া রমজানের সেহরি ও ইফতারের সময় সূচির ক্যালেন্ডার অনলাইন অনুসন্ধান করছেন তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি থেকে বিস্তারিত জেনে নিন। নিচে মৌরিতানিয়া রমজানের সেহরি ও ইফতারের সময় সূচির ক্যালেন্ডার উল্লেখ করা হলো।

রমজানের সময়সূচী 2023

শহর সেহর ইফতার
বারকেওল 05:28 AM 07:05 PM
নোয়াকচট 05:41 AM 07:19 PM
চিনগুয়েটি 05:24 AM 07:06 PM
নৌধীবউ 05:42 AM 07:25 PM
টিডজিকজা 05:22 AM 07:01 PM

মৌরিতানিয়া রমজানের সময় (শীর্ষ শহর)

রমজান ক্যালেন্ডার 2023 নৌআধিবউ

S. No সেহরি ইফতার তারিখ
1 05:45 AM 7:24 PM 02 এপ্রিল 2022
2 05:44 AM 7:25 PM 03 এপ্রিল 2022
3 05:43 AM 7:25 PM 04 এপ্রিল 2022
4 05:42 AM 7:25 PM 05 এপ্রিল 2022
5 05:41 AM 7:25 PM 06 এপ্রিল 2022
6 05:40 AM 7:26 PM 07 এপ্রিল 2022
7 05:39 AM 7:26 PM 08 এপ্রিল 2022
8 05:38 AM 7:26 PM 09 এপ্রিল 2022
9 05:37 AM 7:27 PM 10 এপ্রিল 2022
10 05:37 AM 7:27 PM 11 এপ্রিল 2022
11 05:36 AM 7:27 PM 12 এপ্রিল 2022
12 05:35 AM 7:28 PM 13 এপ্রিল 2022
13 05:34 AM 7:28 PM 14 এপ্রিল 2022
14 05:33 AM 7:28 PM 15 এপ্রিল 2022
15 05:32 AM 7:29 PM 16 এপ্রিল 2022
16 05:31 AM 7:29 PM 17 এপ্রিল 2022
17 05:30 AM 7:29 PM 18 এপ্রিল 2022
18 05:29 AM সন্ধ্যা ৭:৩০ 19 এপ্রিল 2022
19 05:28 AM সন্ধ্যা ৭:৩০ 20 এপ্রিল 2022
20 05:27 AM সন্ধ্যা ৭:৩০ 21 এপ্রিল 2022
21 05:26 AM 7:31 PM 22 এপ্রিল 2022
22 05:25 AM 7:31 PM 23 এপ্রিল 2022
23 05:24 AM 7:31 PM 24 এপ্রিল 2022
24 05:24 AM 7:32 PM 25 এপ্রিল 2022
25 05:23 AM 7:32 PM 26 এপ্রিল 2022
26 05:22 AM 7:32 PM 27 এপ্রিল 2022
27 05:21 AM 7:33 PM 28 এপ্রিল 2022
28 05:20 AM 7:33 PM 29 এপ্রিল 2022
29 05:19 AM সন্ধ্যা ৭:৩৪ 30 এপ্রিল 2022
30 05:19 AM সন্ধ্যা ৭:৩৪ 01 মে 2022

রমজান ক্যালেন্ডার 2023 নোয়াকচট

S. No সেহরি ইফতার তারিখ
1 05:44 AM সন্ধ্যা ৭:১৯ 02 এপ্রিল 2022
2 05:43 AM সন্ধ্যা ৭:১৯ 03 এপ্রিল 2022
3 05:42 AM সন্ধ্যা ৭:১৯ 04 এপ্রিল 2022
4 05:41 AM সন্ধ্যা ৭:১৯ 05 এপ্রিল 2022
5 05:40 AM সন্ধ্যা ৭:২০ 06 এপ্রিল 2022
6 05:39 AM সন্ধ্যা ৭:২০ 07 এপ্রিল 2022
7 05:38 AM সন্ধ্যা ৭:২০ 08 এপ্রিল 2022
8 05:37 AM সন্ধ্যা ৭:২০ 09 এপ্রিল 2022
9 05:36 AM সন্ধ্যা ৭:২০ 10 এপ্রিল 2022
10 05:36 AM 7:21 PM 11 এপ্রিল 2022
11 05:35 AM 7:21 PM 12 এপ্রিল 2022
12 05:34 AM 7:21 PM 13 এপ্রিল 2022
13 05:33 AM 7:21 PM 14 এপ্রিল 2022
14 05:32 AM 7:22 PM 15 এপ্রিল 2022
15 05:31 AM 7:22 PM 16 এপ্রিল 2022
16 05:30 AM 7:22 PM 17 এপ্রিল 2022
17 05:30 AM 7:22 PM 18 এপ্রিল 2022
18 05:29 AM 7:23 PM 19 এপ্রিল 2022
19 05:28 AM 7:23 PM 20 এপ্রিল 2022
20 05:27 AM 7:23 PM 21 এপ্রিল 2022
21 05:26 AM 7:23 PM 22 এপ্রিল 2022
22 05:26 AM 7:24 PM 23 এপ্রিল 2022
23 05:25 AM 7:24 PM 24 এপ্রিল 2022
24 05:24 AM 7:24 PM 25 এপ্রিল 2022
25 05:23 AM 7:25 PM 26 এপ্রিল 2022
26 05:22 AM 7:25 PM 27 এপ্রিল 2022
27 05:22 AM 7:25 PM 28 এপ্রিল 2022
28 05:21 AM 7:25 PM 29 এপ্রিল 2022
29 05:20 AM 7:26 PM 30 এপ্রিল 2022
30 05:20 AM 7:26 PM 01 মে 2022

রোজার নিয়ত

বাংলায় উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুমা গদাম মিন শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আংতাস সামীউল আলীম।

অর্থ: আয় আল্লাহ পাক! আপনার সন্তুষ্টির জন্য আগামীকালের রমাদ্বান শরীফ-এর ফরয রোযা রাখার নিয়ত করছি। আমার তরফ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা , সর্বজ্ঞাত।

ইফতারের দোয়া

বাংলায় উচ্চারণ: (আল্লাহুম্মা সুমতু লাকা, ওয়া তাওআক্কালতু আ‘লা রিঝক্বিকা, ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন)

অর্থ: আয় আল্লাহ পাক! আমি আপনারই সন্তুষ্টির জন্য রোযা রেখেছি এবং আপনারই দেয়া রিযিক্ব দ্বারা ইফতার করছি।

রোজা ভঙ্গের কারণ সমুহ:

  • ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে।
  • স্ত্রী সহবাস করলে ।
  • কুলি করার সময় হলকের নিচে পানি চলে গেলে (অবশ্য রোজার কথা স্মরণ না থাকলে রোজা ভাঙ্গবে না)।
  • ইচ্ছকৃত মুখভরে বমি করলে।
  • নস্য গ্রহণ করা, নাকে বা কানে ওষধ বা তৈল প্রবেশ করালে।
  • জবরদস্তি করে কেহ রোজা ভাঙ্গালে ।
  • ইনজেকশান বা স্যালাইরনর মাধ্যমে দেমাগে ওষধ পৌছালে।
  • কংকর পাথর বা ফলের বিচি গিলে ফেললে।
  • সূর্যাস্ত হয়েছে মনে করে ইফতার করার পর দেখা গেল সুর্যাস্ত হয়নি।
  • পুরা রমজান মাস রোজার নিয়ত না করলে।
  • দাঁত হতে ছোলা পরিমান খাদ্য-দ্রব্য গিলে ফেললে।
  • ধূমপান করা, ইচ্ছাকৃত লোবান বা আগরবাতি জ্বালায়ে ধোয়া গ্রহন করলে।
  • মুখ ভর্তি বমি গিলে ফেললে ।
  • রাত্রি আছে মনে করে সোবহে সাদিকের পর পানাহার করলে।
  • মুখে পান রেখে ঘুমিয়ে পড়ে সুবহে সাদিকের পর নিদ্রা হতে জাগরিত হওয়া এ অবস্থায় শুধু কাজা ওয়াজিব হবে।

রোজা ভঙ্গ হলে করনীয়

  • একটি রোজা ভঙ্গের জন্য একাধারে ৬০টি রোজা রাখতে হবে। কাফফারা ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজার মাঝে কোনো একটি ভঙ্গ হলে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।
  • যদি কারও জন্য ৬০টি রোজা পালন সম্ভব না হয় তবে ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা খাওয়াতে হবে। কেউ অসুস্থতাজনিত কারণে রোজা রাখার ক্ষমতা না থাকলে ৬০ জন ফকির, মিসকিন, গরিব বা অসহায়কে প্রতিদিন দুই বেলা করে পেটভরে খাওয়াতে হবে।
  • গোলাম বা দাসী আজাদ করে দিতে হবে।

যেসব কারণে রমজান মাসে রোজা ভঙ্গ করা যাবে কিন্তু পরে কাজা করতে হয় তা হচ্ছে

  • মুসাফির অবস্থায়
  • রোগ-ব্যাধি বৃদ্ধির বেশি আশঙ্কা থাকলে
  • মাতৃগর্ভে সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে
  • এমন ক্ষুধা বা তৃষ্ণা হয়, যাতে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকতে পারে
  • শক্তিহীন বৃদ্ধ হলে
  • কোনো রোজাদারকে সাপে দংশন করলে।
  • মহিলাদের মাসিক হায়েজ-নেফাসকালীন রোজা ভঙ্গ করা যায়
  • যেসব কারণে শুধু কাজা আদায় করতে হয়
  • স্ত্রীকে চুম্বন বা স্পর্শ করার কারণে যদি বীর্যপাত হয়
  • ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে
  • পাথরের কণা, লোহার টুকরা, ফলের বিচি গিলে ফেললে
  • ডুশ গ্রহণ করলে
  • বিন্দু পরিমাণ কোন খাবার খেলে তবে অনিচ্ছাকৃত ভাবে বা মনের ভুলে খেলেও রোজা ভাংবে না তবে মনে আসা মাত্রই খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে
  • নাকে বা কানে ওষুধ দিলে (যদি তা পেটে পেঁৗছে)
  • মাথার ক্ষতস্থানে ওষুধ দেওয়ার পর তা যদি মস্তিষ্কে বা পেটে পেঁৗছে
  • যোনিপথ ব্যতীত অন্য কোনোভাবে সহবাস করার ফলে বীর্য নির্গত হলে
  • স্ত্রী লোকের যোনিপথে ওষুধ দিলে

রোজার ফরজ কয়টি কি কি? রোজা রাখার নিয়ম কানুন

  • বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম; রোজার ফরজ কয়টি: রোজার ফরজ বা রুকন হল দুটি, যার সমন্বয়ে রোজা পূর্ণ হয়। যথাঃ

    ১. নিয়ত করা

    ২. পানাহার ও কামাচার পরিত্যাগ করা

    ১. নিয়ত করা

    রোজার দুইটি রুকন বা ফরজের প্রথমটি হলো নিয়ত; নিয়ত হল, মহান আল্লাহর আদেশ পালন করার উদ্দেশ্যে রোজা রাখার জন্য হৃদয় বা অন্তরের সংকল্প।

    মহান আল্লাহ বলেন,

    তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে, নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম।

    আর মহানবী সঃ বলেন,

    সমস্ত কর্ম নিয়তের উপর নির্ভরশীল এবং মানুষের তাই প্রাপ্য হয় যার সে নিয়ত করে।

    সহীহ বুখারী হাদিস নং ১

    সুতরাং যে ব্যক্তি ফরয (যেমন রমযান, কাযা, অথবা কাফফারার) রোজা রাখবে, সে ব্যক্তির জন্য নিয়ত করা ওয়াজিব; আর নিয়ত হল, হৃদয়ের কাজ; তার সাথে মুখের কোন সম্পর্ক নেই; তার প্রকৃতত্ব হল, মহান আল্লাহর আদেশ পালন এবং তাঁর সন্তুষ্টি লাভ করার উদ্দেশ্যে কোন কাজের সংকল্প করা

    জামে আত তিরমিজী হাদিস নং ৭৩০

    পক্ষান্তরে সাধারণ নফল রোজার ক্ষেত্রে রাত থেকে নিয়ত করা শর্ত নয়; বরং ফজর উদয় হওয়ার পর কিছু না খেয়ে থাকলে দিনের বেলায় নিয়ত করলেও তা যথেষ্ট হবে।

    সহীহ মুসলিম হাদিস নং ২৬০৫

    পরন্তু নির্দিষ্ট নফল (যেমন আরাফা ও আশুরার) রোজার ক্ষেত্রে পূর্ব সতর্কতামূলক আমল হল, রাত থেকেই তার নিয়ত করে নেওয়া।

    ২. পানাহার ও কামাচার পরিত্যাগ করা

    ফজর উদয় হওয়ার পর থেকে নিয়ে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত সময় ধরে যাবতীয় রােযা নষ্টকারী জিনিস থেকে বিরত থাকা।

    মহান আল্লাহ বলেন,

    অর্থাৎ, আর তোমরা পানাহার কর, যতক্ষণ পর্যন্ত না কালো সুতা থেকে ফজরের সাদা সুতা তোমাদের নিকট স্পষ্ট হয়েছে। অতঃপর তোমরা রাত পর্যন্ত রোজা পূর্ণ কর।

    সূরা বাকারা আয়াত নং ১৮৭

    উক্ত আয়াতে উল্লেখিত কালো সুতা ও সাদা সুতা বলে রাতের অন্ধকার ও দিনের শুভ্রতাকে বুঝানো হয়েছে।

    রোজা শর্ত

    • নিয়ত করা
    • সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকা
    • যৌন আচরণ থেকে বিরত থাকা।

    রোজা রাখার ৪ শর্ত :

    • মুসলিম হওয়া
    • বালেগ হওয়া
    • অক্ষম না হওয়া
    • ঋতুস্রাব থেকে বিরত থাকা নারী।

    রোজা প্রকারভেদ

    • রোজা পাঁচ প্রকার।

    ফরজ রোজা: যা আবার চার প্রকার-

    • রমজান মাসের রোজা।
    • কোন কারণ বশত রমজানের রোজা ভঙ্গ হয়ে গেলে তার কাযা আদায়ে রোজা।
    • শরীয়তে স্বীকৃত কারণ ব্যতীত রমজানের রোজা ছেড়ে দিলে কাফ্ফারা হিসেবে ৬০টি রোজা রাখা।
    • রোজার মান্নত করলে তা আদায় করা।

    ওয়াজিব রোজা:

    • নফল রোজা রেখে ভঙ্গ করলে পরবর্তীতে তা আদায় করা ওয়াজিব।

    সুন্নত রোজা:

    • মহরম মাসের নয় এবং দশ তারিখে রোজা রাখা।

    মোস্তাহাব রোজা:

    • প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪, এবং ১৫ তারিখে, প্রতি সাপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবারে, কোন কোন ইমামের মতে শাওয়াল মাসে পৃথক পৃথক প্রতি সপ্তাহে দুটো করে ছয়টি রোজা রাখা মোস্তাহাব। তবে ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর মতে এক সাথে হোক কিংবা পৃথক পৃথক হোক শাওয়ালের ছয়টি রোজা মুস্তাহাব।

    নফল রোজা:

    • মোস্তাহাব আর নফল খুব কাছাকাছির ইবাদত। সহজ অর্থে নফল হলো যা ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত নয় এমন ইবাদত পূণ্যের নিয়তে করা। রোজার ক্ষেত্রেও তাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *