পরিবহন

যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, বিরতি স্থান অনলাইন টিকিট

যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত নিয়ন্ত্রিত একটি বৃহৎ আন্তঃনগর ট্রেন যাওয়ার ট্রেন নাম্বার ৭৪৫ ও ৭৪৬। এই ট্রেনটি ঢাকা স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করেন এবং যাত্রা শেষ করেন ঢাকা থেকে তারাকান্দি রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত। মানসম্মত পরিষেবা প্রদান করেন এবং একটা আন্তঃনগর ট্রেন হিসেবে বিরতিহীন ভাবে চলাচল করেন এই যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি।

যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে খাবার সুব্যবস্থা রয়েছে নিয়ম মেনে সব কাজ করে টিকিট কাটার এস হান্ড্রেসে বিরতি স্থান তালিকায় সব কিছু নিশ্চিতভাবে নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারে। এটি ১৯৮৮ সালে ২৩ শে জানুয়ারি থেকে চলাচল করছে। আপনারা যারা যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনটির সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটিতে চলে আসুন।

যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী

যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সবসময় নির্দিষ্ট সময়ে প্রস্থান করেন এবং এটি ঢাকা স্টেশন থেকে ১৬:৪৫ সে ছেড়ে যান এবং তারাকান্দি রেলওয়ে ২২:৫৫ এ গমন করেন। অপরদিকে ট্রেনটির তারাকান্দি রেলওয়ে থেকে ২:০০ টায় ছেড়ে যান এবং স্টেশনে পৌঁছেছেন ৭ঃ৪৫ এ।

ট্রেন নাম্বার উৎস স্থান ছাড়ার সময় পৌঁছানোর স্থান পৌঁছানোর সময় সাপ্তাহিক ছুটি

 

৭৪৫ কমলাপুর ১৬:৪৫ তারাকান্দি ২২:৫৫ নেই
৭৪৬ তারাকান্দি ০২:০০ কমলাপুর ০৭:৪৫

যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা

আপনারা যারা যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনে ভাড়া তালিকা একটি পেতে চান তারা নিচে থেকে সংগ্রহ করুন। আমরা যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া তালিকাটি নিয়ে স্থাপন করেছি।

সিরিয়াল আসন বিভাগ টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট)
১. শোভন ১৮৫ টাকা
২. শোভন চেয়ার ২২০ টাকা
৩. প্রথম সিট ২৯৫ টাকা
৪. প্রথম বার্থ ৪৪০ টাকা
৫. স্নিগ্ধা ৪২০ টাকা
৬. এসি সিট ৫০৬ টাকা
৭. এসি বার্থ ৭৫৪  টাকা

যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি ও বিরতি স্টেশন

যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনটির যাত্রাকালে মাঝপথে কিছু স্থানে বিরতি প্রদান করে থাকে আর এই বৃহতী স্থানে যাত্রীরা উঠানামার জন্য প্রদান করেন। আমরা আজকে সেই স্থানগুলোর নাম সারণির মাধ্যমে তুলে ধরেছি।

বিরতি স্টেশন নাম ঢাকা থেকে (৭৪৫) তারাকান্দি থেকে (৭৪৬)
বিমানবন্দর ১৭ঃ১৭ ০৬ঃ৫০
জয়দেবপুর ১৭ঃ৪৭ ০৬ঃ২০
শ্রীপুর ১৬ঃ১৬ ০৫ঃ৪৮
গফরগাঁও ১৮ঃ৫৭ ০৫ঃ১২
ময়মনসিংহ ২০ঃ০০ ০৪ঃ২০
জামালপুর ২১ঃ২০ ০৩ঃ১০
সরিষাবাড়ী ২২ঃ১৫ ০২ঃ১৭

যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ

  • পরিষেবা ধরনঃ              আন্তঃনগর ট্রেন
  • প্রথম পরিষেবাঃ ১৭ মে ১৯৮৮; ৩৩ বছর আগে
  • বর্তমান পরিচালকঃ পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে
  • যাত্রাপথ শুরুঃ               কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
  • শেষঃ                তারাকান্দি রেলওয়ে স্টেশন
  • ভ্রমণ দূরত্বঃ              ২১৩ কিলোমিটার (১৩২ মাইল)
  • পরিষেবার হারঃ দৈনিক
  • রেল নঃ ৭৪৫/৭৪৬
  • যাত্রাপথের সেবা আসন বিন্যাসঃ আছে
  • ঘুমানোর ব্যবস্থাঃ আছে
  • খাদ্য সুবিধাঃ              আছে
  • মালপত্রের সুবিধাঃ ওভারহেড রেক।
  • কারিগরি ট্র্যাক গেজঃ ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট ৩ ৩⁄৮ ইঞ্চি) মিটারগেজ রক্ষণাবেক্ষণ               ঢাকা

খাওয়ার ব্যবস্থা

আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে খাওয়ার ব্যবস্থা সুবিধা রয়েছে সুতরাং ট্রেন কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সুবিধার্থে একটি খাবারের কেবিনে যেখানে যাত্রীরা সব ধরনের খাবার পেয়ে থাকেন। কেবিনে যে সব খাবার বেশি পাওয়া যায় সেগুলো হলো বার্গার কেক স্যান্ডউইচ পেডিস রোল পার্টি চা কফি সিদ্ধ ডিম চিকেন কাবাব ইত্যাদি নানা ধরনের খাবার পানি ও মিনারেল ওয়াটার।

ট্রেনের টিকিট কাটার স্থান

  • দেশের সকল টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটা যাবে
  • টেনের ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটা যাবে (www.esheba.cnsbd.com)
  • *১৩১# নম্বরে ডায়াল করে এসএমএস এর মাধ্যমে টিকিট বুক করা যাবে.
  • টিকিটের জন্য কনফার্মেশন মেসেজ পাঠানো হবে, তা যাত্রা ন্যূনতম আধাঘন্টা আগে, সংশ্লিষ্ট রেলস্টেশনের কাউন্টার থেকে টিকিট প্রিন্ট করতে হবে
  • তবে যাত্রা দশদিন পূর্ব থেকে অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে দেশের যেকোন কম্পিউটারাইজড টিকিট কাউন্টারে এবং ওয়েবসাইটে.

ট্রেনের বগি সংখ্যা

  • এই ট্রেনটিতে মোট বগি রয়েছে ১৬টি.
  • একটি খাবার বগি রয়েছে
  • একটি পাওয়ার কার বগি রয়েছে
  • ট্রেনটিতে খাবারের বগির মধ্যে নামাজের জন্য আলাদা জায়গা বরাদ্দ রয়েছে
  • এবং ট্রেনের মাঝামাঝি জায়গায় খাবারের বগিটি রয়েছে

অন্যান্য সুবিধাদি

  • আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে নামাজের জন্য ব্যবস্থা আছে
  • প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে কর্তব্যরত গার্ডের কাছে
  • প্রত্যেক বগিতে একজন করে গাইড থাকার ব্যবস্থা আছে। তবে তারা যাত্রীদের সেবা, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ট্রেনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বিক দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
  • যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে জানালার পাশে এ্যালুমিনিয়ামের শাটার। ট্রেনে ভ্রমণকালে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। যেমন – ট্রেনের দরজা-জানালায় না বসা, ট্রেনের ছাদে না ওঠা, ইঞ্জিনে না চড়া। ঘনবসতি বা বস্তি এলাকাতে ট্রেন চলার সময় জানালার শাটার লাগিয়ে দেয়া।
  • এসি কেবিন ছাড়া শোভন বগিতে স্ট্যান্ডিং টিকেট কাটার সুবিধা রয়েছে। মোট বরাদ্দকৃত টিকেট বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর স্ট্যান্ডিং টিকেট দেয়া হয়। স্ট্যান্ডিং টিকিটের মূল্য সিটিং টিকেটের সমান এবং সাথে সাধারণ টিকেটের মতই পণ্য নেয়া যায়।

মালামাল পরিবহন

  • একজন শীতাতপ শ্রেণীর যাত্রী ৫৬ কেজি, প্রথম শ্রেণীর যাত্রী ৩৭.৫ কেজি, শোভন শ্রেণীর যাত্রী ২৮ কেজি এবং সুলভ ২য় শ্রেণীর যাত্রী ২৩ কেজি মালামাল বিনা ভাড়ায় সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন।
  • অতিরিক্ত মালামাল মাশুল পরিশোধ করে তা লাগেজ হিসেবে তার নিজ গন্তব্যে নিতে পারেন। বড় স্টেশনগুলোতে লাগেজ বুকিংয়ের জন্য আলাদা কাউন্টার রয়েছে।
  • লাগেজ বহনের জন্য ট্রলির ব্যবস্থা আছে।
  • অসুস্থ ব্যাক্তিদের বহনের জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা আছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *