রিজিক নিয়ে উক্তি, কিছু কথা, হাদিস -রিজিক নিয়ে কোরআনের আয়াত
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আমরা আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। বন্ধুরা আমরা আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি নতুন একটি আর্টিকেল নতুন একটি বিষয় নিয়ে। যে আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন রিজিক নিয়ে কিছু কোরআনের আয়াত। অনেকেই রয়েছেন যারা হাদিস কালাম এসব পড়তে কিবা আমল করতে অনেক আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। আমরা আজকে সেই সব বন্ধুদের জন্য নিয়ে এসেছি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি। তাদের জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটিতে রয়েছে রিজিক নিয়ে উক্তি, রিজিক নিয়ে স্ট্যাটাস, রিজিক নিয়ে ক্যাপশন ,রিজিক নিয়ে হাদিস, রিজিক নিয়ে ইসলামিক আয়াত ও কুরআনের আয়াত।
বন্ধুরা আপনার যারা এইসব বিষয় নিয়ে অনলাইন অনুসরণ করে যাচ্ছেন তারা ঠিক এই মুহূর্তে সঠিক জায়গাতেই রয়েছে। কেননা আমাদের এই আর্টিকেলটি থেকে আপনারা রিজিক নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন। তাহলে আসুন নিচে থেকে আপনারা সংগ্রহ করে নিন রিজিক নিয়ে কোরআনের আয়াত।
রিজিক নিয়ে কোরআনের আয়াত
প্রতিদিনই মানুষ নানা ধরনের খাবার খেয়ে থাকে। আর আমাদের রিজিকে যে খাবারগুলো থাকে সেগুলো হচ্ছে আল্লাহ প্রদত্ত। আমাদেরই দিকে যেসব খাবার থাকে সেসব খাবারই আল্লাহর পক্ষ থেকে পাওয়া হয়। মহান আল্লাহ তায়ালা পক্ষ থেকে আসে এবং আমরা সকলেই স্বীকার করি আমাদের এই খাদ্য তিনি যোগান দিয়ে থাকেন। আমরা বিভিন্নভাবে জানতে পেরেছি যে হাদিসেও আসবে এক বছর আগে আমাদের রিযিক নির্ধারণ করেন মহান আল্লাহতালা। পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআনে রিজিক নিয়ে বিভিন্ন হাদিস উল্লেখ রয়েছে আমরা সেই হাদিস থেকে কতগুলো হাদিস আপনাদের জন্য নিজের সুন্দরভাবে উপস্থাপন করছি।
কার রিজিক কোথায় রয়েছে তা একমাত্র মহান আল্লাহ্ ব্যতিত কেউ জানেন না।
– আব্রাহাম ইলাহি
আল-কোরআনে পরম করুণাময় আল্লাহপাক ঘোষণা করেছেন, ‘পৃথিবীতে বিচরণশীল সকল প্রাণীর রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহ সয়ং তাঁর নিজের ওপর ন্যস্ত করেছেন।
(সূরা হুদ, আয়াত ৬)
আল্লাহ রিজিকদাতা। নিশ্চয় তিনি আল্লাহ রিজিকদাতা। আল্লাহ তা’আলাই তো জীবিকাদাতা শক্তির আধার, পরাক্রান্ত। (সূরা: যারিয়াত, আয়াত ৫৮)
আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সীমাহীন সম্পত্তি দান করেন।
(সূরা: আল-বাক্বারাহ, আয়াত ২১২)
রিজিক নিয়ে হাদিস
রিজি কেমন একটা জিনিস মহান আল্লাহতালার সকলের কপালে লিখে রেখেছেন। আপনি চাইলেও কোন পরিবর্তিত খাবার ব্যবহার করতে পারবেন না কেননা আপনার রিজিক এক বছর পূর্বেই আল্লাহ তায়ালা লিখে রেখেছেন এবং এই রিজিক আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নির্ধারিত।আপনি যদি চান আপনার খাদ্য পরিবর্তন করতে তাহলে সেটি আপনার রিজিকে না থাকলে আপনি কোনভাবেই সেটি গ্রহণ করতে পারবেন না। আরে রিজিক নিয়ে হাদিস যারা অনলাইনে অনুসন্ধান করছেন তারা নিচে থেকে সংগ্রহ করুন।
তোমার যতই অর্থ থাকুক না কেন তুমি তখনই রিজিক গ্রহণ করতে পারবে যখন মহান আল্লাহ্ তায়ালা চাইবেন।
– ইব্রাহিম বিন খালিদ
“মহান আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের প্রতি দয়ালু, যাকে ইচ্ছা রিজিক দান করেন, তিনি প্রবল পরাক্রমশালী।”
– সুরা শুরা: আয়াত ১৯
“সবসময় আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে শেখো, তিনি তোমার রিজিকের ব্যবস্থা করে রেখেছেন, তিনি তোমাকে নিরাশ করবেন না।”
– মহানবি হযরত মুহাম্মত (স)
রিজিক নিয়ে উক্তি
যেহেতু আমাদের সৃষ্টি করেছেন মহান আল্লাহতালা সেহেতু তিনি আমাদের রিজিকদাতা। আল্লাহতালা বলেছেন কখনো না খেয়ে কোন বান্দা মরবে না তাদের প্রতি জনের এই রিজিকের ব্যবস্থা আমি করব। আর এই রিজিক আমাদের তিনি পূর্ব থেকে নির্ধারণ করে রেখেছেন তাই সঠিকভাবে চলে এবং সঠিক পদ্ধতিতে উপার্জন করে সব ভাবে যে রিজিক তিনি আমাদের জন্য উল্লেখ করে গেছেন আমরা শুধু তার দেওয়া রিজিকের কারণে খাদ্য গ্রহণ করতে পারি।
সৎ পথে চলো সৎ পথে ইনকাম করো দেখবে তোমাদের রিজিকের অভাব হবে না।
— প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)
তুমি যখন একজন গরিব-মিসকিনকে খাবার দান করবে, আল্লাহ্ তায়ালা তোমার রিজিককে পবিত্র করে দিবেন।
– মহানবি হযরত মুহাম্মত (স)
রিজিক অর্জনের জন্য শুধু আল্লাহর উপর ভরসা করে কাজ বন্ধ করে বসে থাকলে হবেনা, আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে।
– আবুল মিশকাত
মহান আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা করেন তার রিজিক বাড়িয়ে দেন এবং এবং যার প্রতি অসন্তুষ্ট হন তার রিজিক সংকুচিত করেন।
– (সূরা আর-রাদ: ২৬)
আপনার রিজিক আপনার কষ্টের মাধ্যমেই উপার্জন করে নিতে হবে, আল্লাহ্ তায়ালা আপনাকে পথ দেখাবেন মাত্র।
– সালমান বিন আবদুল আজিজ
মহান আল্লাহ তায়ালা আল কুরআনে পরম করুণাময় আল্লাহপাক ঘোষণা করেন পৃথিবীতে বিচরণশীল সকল প্রাণীর রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহ স্বয়ং তার নিজের হাতে নষ্ট করেছেন তাই আপনি আমি কখনোই রিজিকের চিন্তা করব না আল্লাহ পাক ঠিক আমাদের এই রিজিকের ব্যবস্থা করে দিবেন।