ইসলামিক

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম। শবে বরাতের নামাজের নিয়ত

সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ আশা করছি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমরাও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমরা আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি নতুন একটি বিষয় নতুন একটি আর্টিকেল। আমরা আজকে আপনাদের জন্য আলোচনা করব শবে বরাতের নামাজের নিয়ম শবে বরাতের নামাজের নিয়ত সম্পর্কে। কেননা শবে বরাত হচ্ছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত। যে রাতে মুসল্লীরা এবাদতে মগ্ন থাকেন কিন্তু অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে শবে বরাতের নামাজ নিয়ত কি আর তাই আজ আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে শবেবরাতের নামাজের নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে আলোচনা করেছি।

আপনারা যারা শবে বরাতের নামাজের নিয়ম জেনে সঠিক ইবাদত করতে চান তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি অনুসরণ করুন। আমরা আজকে আমাদের এই আটিকাটিতে শবে বরাতের নামাজের নিয়ত এবং রোজা কিভাবে রাখবেন কোন দিন রাখতে হবে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমাদের সকলের কাছে রমজান মাস হচ্ছে অতিপ্রিয় মাস আর এই অতিপ্রিয় মাসে পূর্বে আমরা শবে মেরাজ এবং শবে বরাত পালন করে থাকি। চলুন তাহলে আমরা দেখে নেই শবে বরাতের নামাজের নিয়ত সম্পর্কে।

শবে বরাত শব্দটি এসেছে ফারসি শব্দ থেকে। আর সবে শব্দের অর্থ হচ্ছে রাত এবং বরাত শব্দের অর্থ হচ্ছে মুক্তি। শবে বরাত এর পূর্ণ অর্থ হচ্ছে মুক্তির রাত। তাই বলা যায় আমরা এই রাত্রি থেকে আমাদের মুক্তির রাত অর্থাৎ পাপ মোচন ইবাদত করে কাটিয়ে দিলে অনেক কিছু থেকে মুক্তি পেতে পারি।

শবে বরাত নামাজ কত রাকাত?

আমরা সকলে জানি যে শবে বরাতের রাত হচ্ছে ইবাদতের রাত। আর এই সকল এবাদতের অন্যতম একটি হচ্ছে নামাজ। সুতরাং শবে বরাতের নফল নামাজ আদায় করা এবং মহান আল্লাহর নিকট বেশি বেশি তওবা করে পাপ কাজের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে অনেকেই মনে করেন শবে বরাতের আসলে কত রাকাত নামাজ হয়ে থাকে। তাই আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলটিতে শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত আছে সম্পর্কে আলোচনা করব। আমরা সকলে জানি শবে বরাতের নামাজ হচ্ছে নফল নামাজ। আর শবে বরাতের নামাজের কোন নির্দিষ্ট রাকাত নেই যে যেরকম ভাবে যত ইচ্ছা নফল নামাজ আদায় করতে পারে।

তবে কিছু ইসলামিক বই পাওয়া যায় যে বইয়ের উল্লেখ করা থাকে নাম শবে বরাতের নামাজ 12 রাকাত 100 রাকাত কিন্তু এই নামাজগুলো হাদিস থেকে প্রমাণিত নয়। তাই মুসলমান ভাই ও বোনেরা শবেবরাতের নামাজ যে কোন নির্দিষ্ট বাধা বা নিষেধ নেই আপনি যতটা ইচ্ছা ততটাই নামাজ পড়তে পারবেন।

আপনারা যদি দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহতালা নিকট ক্ষমা চান এবং কান্নাকাটি করেন তবে অপরাধবোধ উপলব্ধি করতে পারেন তাহলে সে মহান আল্লাহতালা সেই আপনার দুই রাকাত নামাজে কবুল করবে এবং একাধিক নামাজ পড়লেও আপনার কাছে ওই একই কবুল হবে।

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম

আমরা আগে জেনেছি যে শবে বরাতের নামাজের কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই আপনার যত ইচ্ছা আপনারা নফল নামাজ পড়তে পারেন এবং আল্লাহর ইবাদতে মন্দ থাকতে পারেন। কিন্তু শবে বরাত আপনার যে নামাজ পড়বেন সে নামাজ অবশ্যই নফল হিসেবে গণ্য হবে আপনারা যেমন স্বভাব পাবেন নামাজ পড়েন ঠিক তেমনি ভাবে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

শবে বরাতের দুই রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করতে হয় তবে যে যত বেশি নফল নামাজ আদায় করবে তার তত বেশি হবে। শবে বরাতের নফল নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা এর সাথে সূরা ইখলাস সূরা কদর আয়াতুল কুরসি বা সুরা তাকাসুর ইত্যাদি সূরা গুলোর যদি মিলিয়ে পড়া হয় তাহলে অধিক পাওয়া হন যায়।

শবে বরাতের নফল নামাজ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যখন সাবানের মধ্য দিবস অর্থাৎ শাবান মাসের মধ্যে তারিখ আসবে তখন তোমরা রাতেস নফল ইবাদত করবে এবং দিনে রোজা পালন করবে।

হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি মাগরিবের নামাজ আদায় করার পর ২০ রাকাত নামাজ আদায় করবে, তখন মহান আল্লাহ তা’আলা তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করবেন। (তিরমিজি, মিশকাত, ফয়জুল কালাম, হাদিস- ৪৪৯-৪৫০)।

শবে বরাতের নামাজের নিয়ত

শবে বরাতের নামাজের বিশেষ কোনো নিয়ম নেই অন্যান্য নফল নামাজ পড়ার জন্য আমরা যেভাবে নিয়ত করি ঠিক সেভাবেই শবে বরাতে নামাজের নিয়ত করতে হয়। তবে অবশ্যই উল্লেখ রাখতে হবে যে এই নফল নামাজ বরাতে নফল নামাজ। আপনারা চাইলে আরবিতে বা নিজের ভাষায় নফল নামাজের নিয়ত করতে পারেন। আমরা নিচে নিয়তি উল্লেখ করছি।

শবে বরাতের নামাজের নিয়ত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *