Skip to content
Home » শবে বরাতের ফজিলত। শবে বরাতের রোজা কয়টি

শবে বরাতের ফজিলত। শবে বরাতের রোজা কয়টি

শবে বরাতের ফজিলত। শবে বরাতের রোজা কয়টি

শবে বরাত হচ্ছে মহিমান্বিত রজনী। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এর রজনীতে মহান আল্লাহ তায়ালা নিকট দোয়া প্রার্থনা অনুগ্রহ ও ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকেন। আর এই রাতে সকল মুসলিমগণ নিজেদেরকে ইবাদত মগ্ন রাখেন।। সবাই সবার মত করে নিজের ইচ্ছের এবং সামর্থ্য অনুসারে নামাজ আদায় করেন রোজা রাখেন কোরআন তেলাওয়াত করেন এবং সাথে বিভিন্ন ধরনের জিকির করে থাকেন।

বিশেষ করে শবে বরাতের ফজিলত সবার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেকেরই রয়েছে যে শবেবরাত কত তারিখে এবং শবে বরাতের ফজিলত কি শবে বরাতের রোজা কয়টি এই প্রশ্নগুলো। তাই আমরা আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে শবে বরাতের ফজিলত শবে বরাত কত তারিখ শবে বরাতের গুরুত্ব তাৎপর্য সম্পর্কে আলোচনা করেছি।

শবে বরাতের রোজা কয়টি

শবে বরাতের এবাদত বন্দেগীর রাত। এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বিভিন্নভাবেই ইবাদত করে থাকেন নামাজ পড়ে রোজা রেখে দরুদ পাঠ করে কুরআন তেলাওয়াত করে ইত্যাদি ভাবে এবাদত করে। কিন্তু সে রাতের এমন কোন আমল নেই যে আমলটি বাধ্যতামূলক পালন করতেই হবে। শবে বরাতের নামাজের কোন নির্দিষ্ট রাকাত সংখ্যা নেই ঠিক তেমনি শবে বরাতের রোজারও নির্দিষ্ট কোন সংখ্যা নেই সবই শবেবরাতের নামাজের মত করে আপনারা নিজেদের ইচ্ছায় এবং সামর্থ্য অনুসারে রোজা পালন করতে পারেন।

শবেবরাত সাবান মাসের মধ্যদিকে আছে সেহেতু আপনারা ১৩-১৪-১৫ তারিখে রোজা রাখতে পারেন। কারণ প্রতিমাসের এই দিনগুলি আইয়ামে বীজে রোজা। এ সকল রোজা গুলো আমাদের আদি পিতা হযরত আদম আলাই সাল্লাম এবং আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পালন করতেন।

শবে বরাতের ফজিলত ও তাৎপর্য

শবে বরাতের কথা আমরা সবাই জানি কিন্তু সম্পর্কে শবে বরাতের ফজিলত এবং তাৎপর্য অনেকেই জানেন না। তাই আমরা আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে শবে বরাতের ফজিলত ও তাৎপর্য নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা যারা শবে বরাতের ফজিলত ও তাৎপর্য সম্পর্কে আলআমিন অনুসন্ধান করে যাচ্ছেন তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি থেকে সংগ্রহ করুন।

কুরআনে এসেছে যে,  আমি হামিম শপথ উজ্জল কিতাবের নিশ্চয়ই আমি নাযিল করেছি বরকতময় রাত, নিশ্চয়ই আমি ছিলাম সতর্ক কারী। যাতে সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ধারিত হয় এবং নির্দেশ অনুসারে আমার তরফ থেকে নিশ্চয়ই আমি দুটো পাঠিয়ে থাকি। {সূরা-৪৪ দুখান, আয়াত ১-৫}।

লাইলাতুল মোবারক কা বরকতম রজনী বলতে শাবান মাসের পূর্ণিমা রাতে বোঝানো হয়ে থাকে আর এই রাত হচ্ছে আল্লাহ প্রদত্ত এক বরকতময় রাত। এই রাতের ফজিলত এবং তাৎপর্য বলে বোঝানো সম্ভব নয় তাই এই রাতকে মুমিনগণ তার সকল পাপের ক্ষমা মহান আল্লাহ তাআলার নিকট চেয়ে থাকেন।

আপনারা যারা শবে বরাতের রাতে ইচ্ছামতো ইবাদত করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা আপনাদেরকে ক্ষমা করবেন। এই দিন রাতে বরকতময় রজনী বলতে সাবান মাসের পূর্বের নাম রাতকে বলা হয় বলে এই রাতে আপনাকে মঙ্গলের জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট ইবাদত বন্দেগী করতে হয়। সুতরাং এই রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ কোরআন তেলাওয়াত এবং জিকির করা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *