Skip to content
Home » শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আশা করছি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমরাও আপনাদের দোয়া এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমরা আজকে আমাদের আটিকাটিতে আলোচনা করব মুসলিম জাতির জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ একটি আর্টিকেল গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে। ইসলামে মেরাজের রাত একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ রাত। এই রাতে রাসুলুল্লাহ সালামের জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মোজেজা সংঘটিত হয়। তাই আপনারা যারা এই রাতকে নিয়ে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন তাদেরকে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে স্বাগতম।

২৭ শে রজব রাতকে শবে মেরাজ বলা হয়। এই রাতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশেষ ব্যবস্থাপনার ঊর্ধ্বাকাশে গমন করেন এবং আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তাই এই রাত্রি একটি বিশেষ রাত হিসাবে পরিচিত। আর এই রাতে মুসলিম জাতিরা নানা রকম ইবাদতের মধ্য দিয়ে কাটিয়ে দেয়। এই রাতকে নিয়ে অনলাইনে অনুসন্ধান করে যাই এই রাতে সম্পর্কে জানার জন্য। তাদের জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি সাজিয়েছি সে সকল মানুষ আমাদের এই আর্টিকেলটি থেকে শবে মেরাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

মেরাজ অর্থ কি

মেরাজ একটি আরবি শব্দ শাব্দিক অর্থ ঊর্ধ্ব গমন ,আকাশপথে ভ্রমণ করা সোপান ইত্যাদি। রমজান মাসে ২৭ তারিখে এই রাত জাগ্রত অবস্থায় হারাম থেকে মসজিদে আকসা এরপর বোরাকে করে ঊর্ধ্বাকাশ পাড়ি দেওয়ার মাধ্যমে আরো সে আজিমে পৌঁছে আল্লাহর দিদার লাভ করার নামই হচ্ছে মেরাজ। কুরআনে কারীমা আল্লাহতালা বলেন পবিত্র সত্তা তিনি যিনি বান্দাকে তার নিদর্শন গুলো দেখানোর জন্য রাত্রি কারা ভ্রমণ করেছে ছিলেন সময়সূচিতে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত।

শবে মেরাজ কি ও কেন

লাইলাতুল বা সব অর্থ হলো রাত আর মেরাজ অর্থ ঊর্ধ্বগমন। লাইলাতুল মেরাজের অর্থ হচ্ছে উর্দু গমনের রাত। রজবের ২৭ তারিখ নবুয়তের দশম বর্ষে নবী করীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর পঞ্চাশ বছর বয়সে পবিত্র মেরাজ সংঘটিত হয়।

পবিত্র মা মেরাজের যাত্রা শুরু হয় মসজিদে হারাম থেকে। হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম বোরাকে করে নবীজিকে বায়তুল মুকাদ্দাস নিয়ে যান ওখানে তিনি দুই রাকাত নামাজ পড়েন ওই নামাজে নবীজি সাঃ সব নবী করেন। এরপর তিনি উর্ধ্বাকাশে যাত্রা করেন।

যাত্রাপথে প্রত্যেক আসমানের পূর্ববর্তী সম্মানিত নবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় এরপর সিদরাতুল হা হা হয় আরশে আজিমে মহান আল্লাহতালার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

মিরাজের ঘটনা থেকে মুমিন খুঁজে পায় সঠিক পথে দিশা তাই আপনারা যারা দিনের খোঁজ করতে চান প্রিয় নবীর পদ অনুসরণ করতে চান তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি থেকে মর্যাদা শহীদ এই শবে রাজ্যের আর্টিকেলটি মনোযোগ করতে থাকুন।

শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

আমরা আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে পূর্বে আলোচনা করেছি সবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে এবারে আলোচনা করব। এই রাতে আল্লাহ তাআলা রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কে বিশেষ নৈকট্য দান করেন। মুসলমানদের জন্য নামাজ উপহার দেন। নিঃসন্দেহে ওই রাত ছিল গুপ্তবর ফজিলত পূর্ণ রাত। এই রাত ফজিলত নিয়ে কোন মুসলমানদের সন্দেহ থাকতে পারে তবে এ ঘটনার পর নবী সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম অনেক বছর সম্ভাবায় কেরামের জন্য উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও সবে মেরাজ কেন যে কোন আমলের ব্যাপারে বিশেষ হুকুম তিনি দিয়েছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

তবে এই দিনটি মুসলমানদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদতের দিন ২7 এর রজবকে বিশেষভাবে উদযাপন করেছে সুতা যে কাজ রাব্বুল আলামীন করেছিল সে কাজ সাহাবায়ে কেরামও পরিহার করেছেন তাই 27 শে রজবে প্রচলিত ইবাদত বন্দেগি গুলোকে দিনের রহস্য মনে করা সুন্নত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হাদিস ও সুন্নত সম্মত নয়।

তাই সে যে বলতে চাই আল্লাহতালা মুসলিম উম্মাহকে দিনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক বিশ্বাস সঠিকভাবে বোঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *