টিপস

শব ই মেরাজ ২০২৩-শবে মেরাজ কত তারিখে

শবই মেরাজ ইসলাম ধর্মের জন্য একটি অন্যতম ইবাদতের রাত্রি। শব শব্দটি ফার্সি। এটার অর্থ হচ্ছে রাত আর মেরাজ শব্দের অর্থ হচ্ছে উর্ধারোহণ। হাসি শব্দ গঠনে শবে মেরাজ শব্দের অর্থ মেরাজের রাত্র। ইসলামের পরিভাষায় শবে মেরাজ হচ্ছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাগ্রত অবস্থায় সশরীরে সজ্ঞানে জিবরাঈল আঃ ও মিকাইলের ইসলামের সাথে বিশেষ বাহন বোরাকে করে মসজিদুল হারাম কাবা থেকে মসজিদুল আকসা এবং সেখান থেকে প্রথম আসমান। সেখান থেকে ধারাবাহিকতার সপ্তম আসমান ও সিদরাতুল তাহা পর্যন্ত এবং সেখান থেকে একা রব রব বাহন যুগে আর সে আজিম পর্যন্ত ভ্রমণ আরশে আল্লাহ ওর সাথে সাক্ষাৎ জান্নাত জাহান্নাম পরিদর্শন শেষে জগতে ফিরে আসাকে মেরাজ বলে।

আর আজকে আমরা আল্লাহ আমাদের এই আর্টিকেলটিতে আলোচনা কর সবই মেয়েরা ২০২৩ কবে এবং শবে মেরাজ কত তারিখে হবে। আপনারা যারা শবে মেরাজ সম্পর্কে ওয়ালাইকুম সন্তান করে যাচ্ছেন আমরা আজকে তাদের জন্যই আমাদের এই আর্টিকেলটিতে সাজিয়েছি।

শবে মেরাজ ২০২৩

কুরআনে আল্লাহ বলেন তিনি পবিত্র আল্লাহ যিনি তাঁর বান্দাকে রাত্রি ভমন করেছেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত। আমি বরকতময় করেছি যাতে আমি আর তাকে আমার নিদর্শন সমূহ দেখতে পারি নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা। মিরাজের ঘটনা ঘটেছিল নবুওয়াতের 11 তম বছরে ২৭ রজব।

সেই সময় নবীজির বয়স ৫১ বছর জাগ্রত অবস্থায় এই অকাট্য প্রমাণ হচ্ছে কাফেরগণ এটা বিশ্বাস করেছিল যদি রুহানি ভাবে বা স্বপ্নে এটা হতো তাহলে তাদের অবিশ্বাস করার কোন কারণ ছিল না।

মিরাজের ঘটনা সূরা নাজম ও সূরা ইসরায় বিবৃত হয়েছে। তাই হাদিসের প্রধান বইগুলোতে মেয়েরা যে ঘটনাটি নির্ভরযোগ্য ও বিশুদ্ধ সূত্রে বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন শপথ সঞ্চয়ে যখন তা বিলীন হয় তোমাদের সাথে রাসুল সাল্লাম যে বিপথগামী হননি এবং বিভ্রান্ত হননি।

আপনারা যারা অনলাইন অনুসন্ধান করে যাচ্ছেন সবই মেরাজ সম্পর্কে জানার জন্য তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগের অনুসরণ করুন এবং জেনে নিন আল্লাহতালার এই মিরাজের ঘটনা বা নাজম ও শুরায় ইসরা বিবৃত হয়েছে এ বিষয়গুলো।

মেরাজের সফরে যাঁদের সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে:

  • প্রথম আসমানে হজরত আদম (আ.),
  • দ্বিতীয় আসমানে হজরত ইয়াহইয়া (আ.) ও হজরত ঈসা (আ.)
  • তৃতীয় আসমানে হজরত ইউসুফ (আ.)
  • চতুর্থ আসমানে হজরত ইদ্রিস (আ.)
  • পঞ্চম আসমানে হজরত হারুন (আ.)
  • ষষ্ঠ আসমানে হজরত মুসা (আ.)
  • সপ্তম আসমানে হজরত ইবরাহিম (আ.)

মেরাজের মহান আল্লাহ তা’আলা মানবজাতির জন্য নবীজীকে যে সকল উপদেশ দিয়েছেন:

  • আল্লাহ ব্যতীত কারও ইবাদত করবে না।
  • পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করবে।
  • নিকট আত্মীয়দের হক আদায় করবে।
  • মিসকিন ও পথসন্তানদের (হক আদায় করবে)।
  • অপচয় করবে না; অপচয়কারী শয়তানের ভাই।
  • কৃপণতা করবে না।
  • সন্তান হত্যা করবে না।
  • ব্যভিচারের নিকটবর্তীও হবে না।
  • মানুষ হত্যা করবে না। (বর্তমানে মানুষ হত্যা করার নব পদ্ধতি হচ্ছে ভ্রুণ হত্যা)
  • এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করবে না।
  • ওয়াদা পূর্ণ করবে।
  • মাপে সঠিক দেবে।
  • যে বিষয়ে সম‌্যক জ্ঞান নেই সেটা করবে না।
  • পৃথিবীতে দম্ভের সাথে চলবে না।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জান্নাত-জাহান্নামও পরিদর্শন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *