Skip to content
Home » শেষ বেলার কবিতা সংগ্রহ ২০২৩

শেষ বেলার কবিতা সংগ্রহ ২০২৩

শেষ বেলার কবিতা

প্রিয় পাঠক শেষ বেলার কবিতা সংগ্রহ করতে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনাদেরকে স্বাগতম। আমরা আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে শেষ বেলা রোমান্টিক মুহূর্তের কিছু বিখ্যাত কবিদের লেখা কবিতা সংযুক্ত করেছি। আপনারা যারা শেষবেলার কবিতা সংগ্রহ করার জন্য অনলাইন অনুসন্ধান করছেন তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি থেকে খুব সহজে সংগ্রহ করতে পারবেন। ভালোবাসার মানুষকে কাছে পেয়ে গোধূলি বেলা মানুষটিকে রোমান্টিক কিছু অনুভূতি দেওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হচ্ছে কবিতা আবৃত্তি করে শোনা। তাই অনেকে রয়েছে যারা কবিতা আবৃতি করার জন্য সুন্দর সুন্দর কবিতা অনলাইন অনুসন্ধান করে যান।

আপনারা যারা অনলাইনে অনুসরণ করে যাচ্ছেন শেষ বেলার কবিতা সংগ্রহ করার জন্য তাদেরকে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে স্বাগতম। আপনি গোধূলি লগ্নে প্রেমিকার সাথে বসে আছেন আপনার মন বর্তমান রোমান্টিকতায় ভরপুর। আপনার মন চাচ্ছে প্রিয় মানুষটিকে একটি কবিতা শোনানোর কিন্তু এই মুহূর্তে আপনার হাতের কাছে কোন কবিতার বই নেই। কিন্তু বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জব প্রজন্মীয় জিনিস যেটি মানুষ সময়ের সাথে থাকে সেটি হলো স্মার্টফোন।

বর্তমান যুগে স্মার্টফোনের যুগ। আর এ স্মার্টফোন আপনার সাথে আছে তার পৃথিবীর সকল বই আপনার সাথে আছে এই ফোনের গুগলে আপনি অনুসন্ধান করলে হাজার হাজার শেষ বেলার কি রোমান্টিক কবিতা পেতে পারেন শুধুমাত্র কবিতা লিখে সার্চ করলে আপনি পেতে পারেন মজার মজার রোমান্টিক কবিতা। আমরা তাই আমার আপনাদের জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটিতে সুন্দর সুন্দর কতগুলো রোমান্টিক কবিতা উল্লেখ করেছি আপনারা যারা চান তারা আমাদের এই ওয়েবসাইটটি থেকে এই কবিতা গুলো সংগ্রহ করতে পারেন। আর এজন্য অবশ্যই আপনাদেরকে আমাদের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত অনুসরণ করতে হবে।

শেষ বেলার রোমান্টিক কবিতা

রোমান্টিক কথাটি মনে আসলে সর্বপ্রথম তার কথা মনে আসে তিনি হলেন কবিগুরুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা হাজারো রোমান্টিক কবিতা বর্তমান নাম দৃষ্টুপথ তুলে ধরেছেন। রোমান্টিক কথা আর কথা মনে আসলে রবীন্দ্রনাথকে ব্যথা দেখে ভাবাই যায় না তাই আমরা আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কি পারফরম্যান্স কনভেনশন এর রিয়েলাইজেশন তাই আপনার প্রিয় মানুষটিকে খুশি করার জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি নিচে থেকে সংগ্রহ করুন। আমরা নিচে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কিছু রোমান্টিক কবিতা উল্লেখ করলাম।

অচির বসন্ত হায় এল, গেল চলে

অচির বসন্ত হায় এল, গেল চলে–
এবার কিছু কি, কবি করেছ সঞ্চয়।
ভরেছ কি কল্পনার কনক-অঞ্চলে
চঞ্চলপবনক্লিষ্ট শ্যাম কিশলয়,
ক্লান্ত করবীর গুচ্ছ। তপ্ত রৌদ্র হতে
নিয়েছ কি গলাইয়া যৌবনের সুরা–
ঢেলেছ কি উচ্ছলিত তব ছন্দঃস্রোতে,
রেখেছ কি করি তারে অনন্তমধুরা।
এ বসন্তে প্রিয়া তব পূর্ণিমানিশীথে
নবমল্লিকার মালা জড়াইয়া কেশে
তোমার আকাঙক্ষাদীপ্ত অতৃপ্ত আঁখিতে
যে দৃষ্টি হানিয়াছিল একটি নিমেষে
সে কি রাখ নাই গেঁথে অক্ষয় সংগীতে।
সে কি গেছে পুষ্পচ্যুত সৌরভের দেশে।

অত চুপি চুপি কেন কথা কও

অত চুপি চুপি কেন কথা কও
ওগো মরণ, হে মোর মরণ।
অতি ধীরে এসে কেন চেয়ে রও,
ওগো একি প্রণয়েরি ধরন।
যবে সন্ধ্যাবেলায় ফুলদল
পড়ে ক্লান্ত বৃন্তে নমিয়া,
যবে ফিরে আসে গোঠে গাভীদল
সারা দিনমান মাঠে ভ্রমিয়া,
তুমি পাশে আসি বস অচপল
ওগো অতি মৃদুগতি-চরণ।
আমি বুঝি না যে কী যে কথা কও
ওগো মরণ, হে মোর মরণ।

হায় এমনি করে কি, ওগো চোর,
ওগো মরণ, হে মোর মরণ,
চোখে বিছাইয়া দিবে ঘুমঘোর
করি হৃদিতলে অবতরণ।
তুমি এমনি কি ধীরে দিবে দোল
মোর অবশ বক্ষশোণিতে।
কানে বাজাবে ঘুমের কলরোল
তব কিঙ্কিণি-রণরণিতে?
শেষে পসারিয়া তব হিম-কোল
মোরে স্বপনে করিবে হরণ?
আমি বুঝি না যে কেন আস-যাও
ওগো মরণ, হে মোর মরণ।

অনন্ত প্রেম

তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি শত রূপে শতবার
জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।
চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয় গাঁথিয়াছে গীতহার–
কত রূপ ধরে পরেছ গলায়, নিয়েছ সে উপহার
জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।

যত শুনি সেই অতীত কাহিনী, প্রাচীন প্রেমের ব্যথা,
অতি পুরাতন বিরহমিলন কথা,
অসীম অতীতে চাহিতে চাহিতে দেখা দেয় অবশেষে
কালের তিমিররজনী ভেদিয়া তোমারি মুরতি এসে
চিরস্মৃতিময়ী ধ্রুবতারকার বেশে।

আমরা দুজনে ভাসিয়া এসেছি যুগলপ্রেমের স্রোতে
অনাদি কালের হৃদয়-উৎস হতে।
আমরা দুজনে করিয়াছি খেলা কোটি প্রেমিকের মাঝে
বিরহবিধুর নয়নসলিলে, মিলনমধুর লাজে–
পুরাতন প্রেম নিত্যনূতন সাজে।

আজি সেই চির-দিবসের প্রেম অবসান লভিয়াছে,
রাশি রাশি হয়ে তোমার পায়ের কাছে।
নিখিলের সুখ, নিখিলের দুখ, নিখিল প্রাণের প্রীতি,
একটি প্রেমের মাঝারে মিশেছে সকল প্রেমের স্মৃতি–
সকল কালের সকল কবির গীতি।

অমন আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে

অমন আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে
চলবে না।
এবার হৃদয় মাঝে লুকিয়ে বোসো,
কেউ জানবে না, কেউ বলবে না।
বিশ্বে তোমার লুকোচুরি,
দেশ বিদেশে কতই ঘুরি –
এবার বলো আমার মনের কোণে
দেবে ধরা, ছলবে না।
আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে
চলবে না।

জানি আমার কঠিন হৃদয় চরণ রাখার যোগ্য সে নয় –

সখা, তোমার হাওয়া লাগলে হিয়ায়
তবু কি প্রাণ গলবে না।

না হয় আমার নাই সাধনা, ঝরলে তোমার কৃপার কণা

তখন নিমেষে কি ফুটবে না ফুল
চকিতে ফল ফলবে না।
আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে
চলবে না।

কুণাল বিশ্বাস

অন্তর্জলী

করুণাধারায় এসো
তোমার পরশখানি লেগে আছে ঝর্ণায় পাথরে
ব্রততী সোপান, ঝরোকা, হ্লাদিনী সেতু
পার করে আমার পর্ণকুটির
অবসরে খাদ্য ও পানীয়, রাষ্ট্র
এমনকি যৌন-নিশ্চেতনা বিষয়ক
আলোচনা হয়, স্বাদুজলে নেচে ওঠে
খলসে মাছের ঝাঁক

দূর ওই তটভূমি — তমালসুরভি
শ্মশানযাত্রীর ঘুম…

এই সব কিছু থেকে
আরও দূর কোনো ক্রান্তীয় সন্ধ্যায়
শুনি তালবাদ্য… বৈজু চাঁড়ালের গান

তুমি, একে ভগবত জ্ঞান করো

বাঁক

সুখচাঁদ, ভুলে যাও বৃথা অভিমান, রাগ
একদা তোমার বন্ধুদের প্রতি
মনে রেখো তারাও কখনো পড়েছিল বাশোর কবিতা
অশ্রু, ছাপাখানা, হোটেলের লেবুডাল শেষে
হাইকুর স্তব বলেছিল জনে জনে ডেকে
মাসকাবারির ছক কষে দিয়েছিল
নির্জলা দুপুরে, কুণ্ঠিত মেসের বারান্দায়
দ্যাখো, শিউলি তলায় কুসুম কুড়িয়ে ঘরে
ফিরে যাচ্ছে পুতুলের মাসি
কুলপুরুতের মতো শীর্ণ হাওয়া দিচ্ছে আজ
সকাল থেকেই
বলো সুখচাঁদ, কেন এত অনুযোগ
তোমার প্রাণের ‘পরে কী-এমন গূঢ় সন্ধি
লিখে দিয়ে গেছে ওই ঝাঁঝালো রাত্রির আলো
যে তুমি বেশ্যাগমন ভুলে আজ ক্যারম খেলেছ

হারমোনিয়াম

তোমাকে ভাবার দিন শেষ হয়ে এল
রেলইয়ার্ডের পাশে বালি ও খেজুর,
স্বপ্নাতুর মেঘ, সহসা বিকেল…

সূর্যাস্তের আগে কোমল নি ধরেছে হরির বোন…

পলাশবাড়ি

রাত্রির সীমিত আয়োজন
ভীত চাঁদ হেঁটে যায়
একা একা
মুখচোরা বালিকার প্রায়

ছিপছিপে জোনাকির বন
পাতা ঝরে খালি
কাঁপে বিজনে বাবুইয়ের বাসা
বাতাসের দীর্ঘসূত্রিতায়

শাওন

আজ রাতে ভুলে যাই তার
অপরূপ দুটি চোখ
হে দূরত্বময়ী, দ্যাখো
বাতাস এসেছে কাছে
আমার সামান্য ঘুম চলে গেছে
একা হিমঘরে

গ্রন্থিত আমার লেখা তুমি
নিজে হাতে খুন করো
কেড়ে নাও স্বীয় অক্ষর, প্রতিমা—
যেন কুপিত ঈশ্বর
শুল্কারোপ করে যান পৃথিবীর ‘পরে

এভাবেই কখনো আকাশনীল, রক্তে রাঙা
শালবন পার করে
তোমাকে পড়েছে মনে
ভ্যান্ডার বগির মতো স্বতন্ত্র দিনের শেষে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *