Skip to content
Home » সহবাসের পর মাসিক না হলে করনীয়

সহবাসের পর মাসিক না হলে করনীয়

সহবাসের পর মাসিক না হলে করনীয়

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করছি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমরাও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমরা আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি নতুন একটি বিষয় নিয়ে যে বিষয়টি নারী জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় হবে সহবাসের পর মাসিক না হলে করণীয়। মাসি হলো নারী দেহের স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রত্যেক মেরি প্রতিমাসে মাসিক হয়ে থাকে। কিন্তু দেখা যায় অনেকেরই নিয়মিত মাসিক হয় না বা সময়ের পরও বিনা কারণেই মাসিক মিস হয়।

তাই আমরা আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে আলোচনা করব সহবাসের পর মাসিক না হলে করণীয়। মাসিক মিস হওয়ার কারণে অনেক মেয়েরা অনেক চিন্তিত বোধ করেন বিশেষ করে যারা বিবাহিত এবং কি সহবাসের পর যদি মাসিক না হয়ে থাকে তখন তারা অনেক চিন্তিত হন কারণ তখন তারা ভাবেন হয়তো তারা সন্তান সম্ভাবনা যে কারণে তাদের মাসিক হচ্ছে না। তাই এবারে জেনে নিন মাসিক না হলে কি করবেন।

সহবাসের পর মাসিক না হলে করণীয়

সহবাসের পর মাসিক না হলে প্রথমে প্রেগনেন্সি পরীক্ষা করা উচিত। প্রেগনেন্সি পরীক্ষা করার মাধ্যমে গর্ভবতী কিনা সেটা জানা যাবে গর্ভধারণের সময় যেহেতু আগে Human chorionic gonadotropin হরমোন মিশ্রিত হয় প্রস্রাব পরীক্ষা করার মাধ্যমে আমরা আসলে প্রসাদের Human chorionic gonadotropin এর উপস্থিতি দেখি।

এর মাধ্যমে প্রেগনেন্সি পজিটিভ না নেগেটিভ তার নিশ্চিত করা হয় প্রথমত মাসিকের সময় ১০ দিন পার হয়ে গেলে তার ১০ দিন পর অর্থাৎ মাসিক যদি ১ তারিখ হয় তাহলে ১০ দিন পরে অর্থাৎ ১০ থেকে ১৫ তারিখে পেগনেন্সি পরীক্ষা করতে হবে। আর প্রসব পরীক্ষা করার জন্য সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে প্রথম প্রসাব দিয়ে পরীক্ষা করলে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়।

প্রথম প্রস্রাব করতে বোঝায় রাতে ঘুম থেকে ওঠার পর সকালবেলা যখন প্রথম প্রসাব করা হয় সেই প্রসাদ আর প্রসাব কি যে পাত্রে রাখবেন যেটি সংরক্ষণ করতে হবে অবশ্যই পরিস্কার এবং শুকনো পাত্র হবে। আর সেই পাত্রটি পরিষ্কার করার জন্য কিন্তু কিছুতেই সাভার বা ধোয়ার পাউডার দিয়ে ধোয়া যাবে না। সাবান দিয়ে ধোয়ার কারণে সঠিক ফলাফল আসবেনা প্রেগনেন্সি পরীক্ষা সঠিক মানের টেস্ট কিট ব্যবহার করে সঠিক ফলাফল আনতে হবে।

ভালো মানের একটি কিট এর দাম হচ্ছে 40 থেকে 50 টাকা। তাইলে ভালো মানের কি দিয়ে আপনার প্রসাবটি পরীক্ষা করে দেখবেন আপনি প্রেগনেন্সি কিনা।

কিভাবে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করবেন?

রাতে ঘুমানোর পর সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথম যে প্রস্রাব করা হয় তাকে বলা হয় সকালে প্রথম প্রস্রাব ওসব পরিষ্কার একটি শুকনো পাত্র সংরক্ষণ করতে হবে। আপনি সকালে প্রথম পোশাকটি একটি শুকনো পাত্রে রাখবেন তবে লক্ষ্য রাখবেন ওই পাত্রটি সাভার কিংবা ওয়াশিং পাউডার দিয়ে ধোয়া যাবে না। যে টেস্ট কি তা নিবেন তাতে লেখা আছে ঠিক কন্ট্রোল টি টেস্ট তারপরে লেখা আছে এস সিম্পল যেখানে এস দেওয়া আছে সেখানে ওই পাত্রে রাখা তিন ফোঁটা দিতে হবে ৩ ফোঁটা দেওয়ার পর যখন ফ্রি মানে কন্ট্রোল লাইনে দুটো লাল দাগ আসবে তাহলে বুঝতে হবে প্রেগনেন্সি পজেটিভ আর যদি একটি দাগ আসে তাহলে বুঝতে হবে প্রেগনেন্সি নেগেটিভ।

আপনি যদি নিজের কাছে মনে হয় যে গর্ভধারণ করেছে কিন্তু প্রেগনেন্সি টেস্ট কেটে তার নেগেটিভ আছে বারবার পরীক্ষা করার পর নেগেটিভ আছে তখন তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এরপর আপনাকে অবশ্যই রক্ত টেস্ট করে দেখতে হবে আপনি গর্ভধারণ করেছেন কিনা। এরপরে রক্ত পরীক্ষা করার পর ফলাফল নিশ্চিত করতে হবে আপনি সত্যিই গর্ভধারণ করেছেন কিনা। অনেক সময় টেস্ট কিপটে ভুল দেখাতে পারে তাই নিশ্চিত হওয়ার জন্য ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া একান্ত জরুরি।

সহবাসের পর মাসিক না হওয়ার কারণ

প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট সময় মেয়েদের অবুলেশন বা ডিম্বপাত হয়ে থাকে আর এই দিনেপাত হওয়াকে একটি মেয়ের পিরিয়ড বা মাসিক বলা হয়। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময় ২৮ থেকে ২৯ দিন পর পর এই ডিম্বপাত হয়। আর এই ডিম্বপাত বা ওভুলেশনের সময় মিলন করলে শুক্রাণু ও ডিম্বানু একত্রিত হয়ে ব্রণের সৃষ্টি হয় এবং গর্ভধারণ হয়। যেসব মেয়ের মাসিক হয় না তাদের ডিম্বাশয়ের কোন ডিম্বাণু সৃষ্টি হয় না। আদিম বানু না থাকলে গর্ভধারণ করা কোন নারীর পক্ষে সম্ভব হয় না। অনেক সময় বিয়ের পর মেয়েরা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় ভোগেন আর এই দুশ্চিন্তাগুলো হতে পারে পারিবারিক চিন্তা সামাজিক চিন্তা অর্থনৈতিক চিন্তা মানসিক চিন্তা।

এ ধরনের চিন্তা ও মানুষের চাপ মাসির না হওয়ার কারণ হতে পারে ওদের সঙ্গে নারীদের বিয়ের পর মাসিক অনিমিত হয়ে যায় এক মাস দুই মাস তিন মাস পর পর মাসিক হয়ে থাকে এটাকে অনিমিত মাসিক বলা হয়। এটা গর্ভধারণের লক্ষণ না, গর্ভধারণের সময় মেয়েদের শরীরে বেশ কিছু হরমোন পরিবর্তন হয় সেই পরিবর্তনগুলো আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটি নিছে তুলে ধরেছি।

1. HCG (human chorionic gonadotropin).
2. Estrogen.
3. Progesterone.
4. Human chorionic somatommotropin.
5. Relaxin.

এগুলোর মধ্যে আপনাদের মেয়েদের শরীরে Human chorionic gonadotropin মিশ্রিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ শুকানো ও দিবানু মিলিত হওয়ার ৮ থেকে ১১ দিন পর Human chorionic gonadotropin হরমোন রক্ত এবং প্রসাব পরীক্ষা করলে পাওয়া যাবে।

পিরিয়ড মিস হলে কি প্রেগন্যান্ট?

গর্ভবতী হওয়ার কিছু লক্ষণ রয়েছে সেগুলো যদি শরীরের মধ্যে অনুভব না হয় তাহলে বুঝতে হবে হয়তো সে গর্ভবতী না আরো কিছু গর্ভবতী হয় তাহলে তাদের শরীরে কিছু পরিবর্তন আসবে সেগুলো হলো বমি বমি ভাব মাথা ঘোরা মাথাব্যথা করা খাবারের অরুচি বেস্ট শক্ত হয়ে যাওয়া অনেকের মাথা ঝিমঝিম করে শরীর কাপে। অনেক সময় দেখা যায় প্রেগনেন্সি না হওয়ার পরও মাসিক বন্ধ হয়ে যায় ২-৩ মাস পর মাসিক হয় শরীর শারীরিক সমস্যার কারণে হয়ে থাকে মাসি না হওয়ার আরেকটি কারণ হতে পারে মানসিক চাপ।

মাসিক বন্ধ হওয়ার বা অন্যের মত অন হওয়ার একটি কারণ হলো অতিরিক্ত ওজন বা রুগ্ন। উচ্চতার সাথে ওজনের একটি মিল থাকে উচ্চতার সাথে যখন ওজন অতিরিক্ত বেশি হয়ে যায় তাকে অতিরিক্ত স্বাস্থ্যবান বলা হয়। আরে অতিরিক্ত স্বাস্থ্য ও নিয়মিত মাসিক হওয়ার আরেকটি কারণ আবার অনেক নারীরা আছে একেবারে শুকনো স্বাস্থ্য হীনতায় ভুগছেন তাদেরও অনিয়মিত মাসিক হয়ে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *