আসসালামু আলাইকুম কি ব্যাপার বন্ধুগণ আশা করছি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমরাও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমরা আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি এই পর্সা থেকে অনলাইনে জমির খতিয়ান ডাউনলোড করার উপায় সম্পর্কে তো একটি আলোচনা। এই আর্টিকেলটি আপনি ভালো করে অনুশীলন করলে অনলাইন থেকে খতিয়ান নাম্বার বের করা সমস্ত প্রক্রিয়া জানতে পারবেন। আমরা আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে আলোচনা করেছি পরচা থেকে অনলাইন জমির খতিয়ান ডাউনলোড করার উপায়।
আপনারা যারা বিপর্য থেকে জমি খতিয়ান ডাউনলোড করার কথা ভাবছেন তাদেরকে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে স্বাগতম। আপনারা চাইলে আমাদের এই আর্টিকেলটি থেকে কিভাবে জমির কাগজ-পয়সা থেকে ডাউনলোড করবেন সে বিষয়ে জেনে নিতে পারেন। আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে ই পর্চা থেকে জমির কাগজ কিভাবে ডাউনলোড করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছি।
খতিয়ান নম্বর কি?
অনেকেই এখন পর্যন্ত জানেন না বা অভিজ্ঞ নন খতিয়ান নম্বর সম্পর্কে। তাই আমরা আলোচনা করেছি খতিয়ান নম্বর কি এবং কেন ব্যবহার করা হয় সেই বিষয়ে। মৌজাভিত্তিক একবার একাধিক ভূমি মালিকের ভুল সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্তুত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্য অধিকারীর নাম ও প্রচার নাম জমির দাগ নং পরিমাণ প্রকৃতি খাজনার হার ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ান উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় তার মধ্যে বি এস বি এ এবং আর এস উল্লেখযোগ্য। ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে।
খতিয়ান নম্বর সাধারণত তিন প্রকার হয়ে থাকে। নিচে খতিয়ান গুলো উল্লেখ করা।
- বিএস খতিয়ান
- এস এ খতিয়ান এবং
- আর এস খতিয়ান।
বিএস খতিয়ানঃ ১৯১০-২০ সনের মধ্যে সরকারি আমিন গণপ্রতিরোধ খন্ড পরিমাপ করে আয়তন সহ যাবতীয় তথ্য লিপিবদ্ধ করে মালিক তার বিবরণ সম্বলিত যে খতিয়ান তৈরি করে তাকে সিএস খতিয়ান বলে।
এস এ খতিয়ান: ১৯৫০ সালে জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাসের পর সরকার জমিদারি অধিগ্রহণ করেন, সেই সময় বি এস খতিয়ান সংশোধন করে যে খতিয়ান প্রস্তুত করে তাকে এস এ খতিয়ান বলে। এই খতিয়ানকে বাষট্টির খতিয়ান নামেও বলা হয়ে থাকে।
আর এস খতিয়ানঃএকবার জরিপ হওয়ার পর তাতে উল্লেখিত ভুলত্রুটি সংশোধনের জন্য পরবর্তীতে যে জরিপ করা হয় তা আরএস খতিয়ান নামে পরিচিত।
অনলাইনে জমির খতিয়ান ডাউনলোড করার উপায় 2024
বর্তমান সরকারের ডিজিটালাইজেশন এর ফলে সবকিছু হাতের নাগালে পাওয়া যায়। এর উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল সম্প্রীতি ভূমি মন্ত্রণালয় অনলাইনে এর মাধ্যমে জমির তথ্য প্রদান করা যাচ্ছে। এ ধারা বাড়ি কোথায় জমির খতিয়ান নম্বর অনলাইন থেকে জমির খতিয়ান ডাউনলোড করার উপায় এখন খুব সহজ। কোনরকম তৃতীয় পক্ষে সাহায্য ছাড়া জমির খতিয়ান নম্বর বের করা যাচ্ছে ফলে অর্থ ও টাকা দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে।
এই ওয়েবসাইটে গিয়ে সর্বপ্রথম আপনাকে যে কাজটি সম্পাদন করতে হবে সেটি হল আপনি যে পোর্টালটি দেখতে পারবেন সেখানে খতিয়ান অনুসন্ধান করুন। এই ঘরে ক্লিক করার পর আপনার কাছে সম্পূর্ণ তথ্য যাবে যেহেতু আপনি খতিয়ান আবরণের সন্ধান করছেন সেহেতু আপনার খতিয়ান নম্বর ছাড়া বাকি সব তথ্য পূরণ করে ক্যাপশন কোড পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। আমি আবারো বিষয়গুলো তুলে ধরলাম।
- প্রথমে বিভাগ সিলেক্ট করুন।
- জেলা সিলেক্ট করুন।
- উপজেলা সিলেট করুন।
- মৌজা নাম, নম্বর সেলেক্ট করুন ।
- যেহেতু খতিয়ান নাম্বার বের করবেন তাই এই জায়গাটি ফাকা রাখুন।
- দাগ নম্বর দিন।
- মালিকের নাম দিন।
- মালিকের পিতা অথবা স্বামীর নাম দিন।
- এরপর ক্যাপচা ঘরটি পূরন করুন।
- অনুসন্ধান বাটনে টিপ দিলে আপনি খতিয়ান নাম্বার দেখতে পারবেন।
এছাড়া আপনি জন্মের দাগ নম্বর খতিয়ান নম্বর মালিকের নাম জমির পর্চা কিছুই অনলাইনে বের করতে পারবেন। সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয় ই ফর্সা অ্যাপ ডাউনলোড চালু করেছেন আমরা এই ওয়েবসাইটটিতে সেই অ্যাপটি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছি আপনারা চাইলে আমাদের এই ওয়েবসাইটি থেকে ই ফোর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।