অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার উপায়
অনেকের দেখা যায় জাতীয় পরিচয় পত্র আসলে অনেক তথ্য ভুল আসে। আসছে জাতীয় পত্র ঠিক করার জন্য চারদিক কে হননি হয়ে বেড়াতে হয়। কিন্তু এখন আর আপনাকে হয়রানি হতে হবে না। চিন্তা করতে হবে না জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার জন্য। এখন আপনি ঘরে বসেই অনলাইন এর মাধ্যমে কিংবা সাথে গিয়েও সংসদের ব্যাপারে কথা বলে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এখন খুব সহজেই জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করা যায়।
আপনাদের যাদের এখন পর্যন্ত জানা নেই যে অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করা যায় আপনারা আমার এই পোস্টটি থেকে জেনে নিন। কিভাবে অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করা যায় এই বিষয় নিয়ে আমি আজকে আমার এই পোস্টটি লিখেছি। নিচের থেকে জেনে নিন কিভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করা যায় তার নিয়ম।
অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র সংসদের নিয়ম
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে গেলে আপনাদেরকে নির্দিষ্ট একটা ফি প্রদান করতে হবে। আর এই ফ্রী গুলো আপনি কয়েকটি মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। নিচের মাধ্যমগুলোতে আপনি পি প্রদান করতে পারবেন।
রকেট মোবাইল ব্যাংকিং
টি ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং
ওকে ওয়ালেট মোবাইল ব্যাংকিং
ডাচ বাংলা ব্যাংক
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড
ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড
মিচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড
যেসব কাগজপত্র লাগবে
ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য যেসব কাগজপত্র লাগবে তা আপলোড করতে হবে।
শুধু নাম বা বানান সংশোধনের হলে, জন্ম নিবন্ধন, এসএসসি/এইচ এস সি পরীক্ষার সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট এর ফটোকপি।
ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বা পানির বিলের কপি।
স্বামীর নাম যোগ করতে হলে নিকাহ নামা ও স্বামীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
স্বামীর নাম বাদ দিতে হলে তালাকনামার ফটোকপি।
রক্তের গ্রুপ সংশোধনের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সার্টিফিকেট।
যাতে পরিচয়পত্রে সবই পরিবর্তনের জন্য সশরীরে উপস্থিতি হতে হবে।
এসব কাগজপত্র নিয়ে আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করার জন্য ফরম ফিলাপ করতে হবে। ডিসিশন করার জন্য যে সব স্টেপ আপনাকে ফলো করতে হবে তা হল
নির্বাসন কমিশন অফিসের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে এপ্লাই করার জন্য।
ফর্ম ডাউনলোড করতে হবে
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের ফর্ম ফিলাপ করতে হবে।
ভ্যারিফিকেশন
এরপর আপনাদের স্টেশনটি ভেরিফিকেশন করতে হবে ভেরিফিকেশন করার জন্য আপনাকে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে লগইন করতে হবে এরপর ন্যাশনাল আইডি কার্ডে ১৩ ভিজিটের নাম্বারটি দিয়ে লগইন করতে হবে। আপনাদের নাম্বারে আপনার কাছে যেই এসএমএস আসবে সেটাতে আপনার ভেরিফিকেশন কোডটি লেখা থাকবে সবশেষে এই ভেরিফিকেশন করতে দিয়ে আপনার একাউন্ট ভেরিফিকেশন করতে হবে।
আপনাকে প্রয়োজনীয় দুটি কাজ করতে হবে তা হল
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের লগইন করতে হবে।
মোবাইলে আসা এসএমএস করতে দিয়ে একাউন্ট ভেরিফিকেশন করতে হবে।
তথ্য সংশোধন
এরপর আপনি আপনার যে জায়গাটি ঠিক করতে চান ফর্মে সেই ঠিক করে লিখতে হবে। ফর্মে ভালো করে চেক করতে হবে আপনার জন্ম তারিখ সাল নাম পিতা মাতার নাম এবং ঠিকানা সঠিকভাবে দেওয়া হয়েছে কিনা আর সেসব তথ্য যদি আপনি ভুল করে থাকেন তাহলে আবারও দেখা যাবে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রটি ভুল এসেছে। এরপর আপনাকে পরিবর্তন করার জন্য তথ্য ফিলাপ করে তারপর আপনাকে ফরমটি প্রিন্ট করতে হবে।
এখানেও আপনাকে দুটি জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে হবে সেটি হল।
ফর্মের পরিবর্তনের জন্য তথ্য দিতে হবে।
ফরম প্রিন্ট করতে হবে।
সাব মিশন
এরপর আপনাকে অবশ্যই ফর্মটি প্রিন্ট আউট করার পর ফরমেটে সাইন করতে হবে তারপর ফর্মটি সাবমিট করতে হবে আপনার তথ্যগুলোর সঠিক আছে কিনা দেখতে হবে। সাবমিট করার জন্য প্রমাণ হিসেবে আপনাকে এসএসসি বা এসএসসি সার্টিফিকেট দিতে হবে মূলত প্রমাণ হিসেবে এস এস সি সার্টিফিকেট বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে এরপর ফরম দুটোকেই আপনার স্কান করতে হবে।
প্রিন্ট আউট ফর্ম সাইন করা
জরুরি প্রমাণ করা
ফর্ম এবং প্রমাণের কাগজ স্থান করা
সাবমিট করা
ফরম ফিলাপের সময় করণীয়
ফরম ফিলাপের সময় আপনাকে অবশ্যই কতকগুলো নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে। যে নিয়মগুলো মেনে চলে আপনাকে কাজ করতে হবে সে ফরম ফিলাপের করণীয় কাজগুলো আমি নিচে উল্লেখ করে দিলাম।
১৩ ডিজিট এর জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার সঠিক ভাবে দেওয়া।
মোবাইল নাম্বার সঠিক ভাবে দেওয়া যাতে ভেরিফিকেশন এর কাজ সঠিকভাবে এবং সহজে সম্পূর্ণ হতে পারে।
বর্তমান ঠিকানা সঠিকভাবে দেওয়া।
ওয়েবসাইটে লগইন করার সময়
লগইন পাসওয়ার্ড ঠিকমতো দেওয়া আর আপনার যদি লগইন অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে অ্যাকাউন্ট করে নেওয়া।
সাবমিট করার আগে সব তথ্য আবার চেক করে নাও।
অফলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন
আপনারা যদি অফলাইন এ জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে চান তাহলে ইউনিয়ন পরিষদ উপজেলা থানা জেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভুল তত্ত্বগুলো সংশোধন করে নিতে পারেন।
শুধু নাম সংশোধনের হলে জন্ম নিবন্ধন এসএসসি এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট পাসপোর্ট এর ফটোকপি।
শুধু ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বা পানির বিলের কপি।
স্বামীর নাম যোগ করতে হলে নিকাহনামা ও স্বামীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
স্বামীর নাম বাদ দিতে হলে তালাকনামার ফটোকপি।
আবেদন ফরম ডাউনলোড
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করা ঝামেলা থেকে মুক্ত হতে হলে আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন তথ্য শুদ্ধভাবে দিতে হবে। আর এই সংশোধন তত্ত্ব শুদ্ধভাবে আসতে আপনার সময় লাগে এক থেকে দুই মাস।
জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য আমরা ভুলতেই বলে আমাদেরকে সংশোধন করতে হয়। আমরা যদি জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে গিয়ে আবার ভুল তথ্য দেই তাহলে আবার নতুন করে ভুল জাতীয় পরিচয় পত্র আসবে। তাহলে চিন্তা কোন কারণ নেই কারণ এই একই পদ্ধতিতে আপনি আবার আপনার যাতে পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন কিন্তু একই ভুল বারবার করলে আপনার সময় নষ্ট হবে তাই আপনি চেষ্টা করবেন কোনটায় দ্বিতীয় ভুল না করার।
সর্বশেষে
আপনারা যারা আমার এই পোস্টটি থেকে খুব সহজে বুঝতে পেরেছেন যাকে পরিচয় পত্র কিভাবে সংশোধন করা যায় তারা অন্যদেরকেও এই পদ্ধতি গুলো জানার জন্য অন্যের সাথে শেয়ার করুন। তারাও যেন খুব সহজে লাইনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে পারে।