গরম নিয়ে উক্তি, গরম থেকে অসুস্থতা প্রতিরোধ করার উপায়, গরম নিয়ে স্ট্যাটাস
বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। আর এর একটি ঋতু একেক সময় আসতে থাকে। গরম বলতে আমরা গ্রীষ্ম ঋতুকেই বুঝে থাকি। বৈশাগপুর জ্যৈষ্ঠ এই দুই মাস গ্রীষ্মকাল। এই দুই মাসের গরমে মানুষ অস্থির হয়ে ওঠে। মানুষ বাইরে বের হলে ই ঘামে শরীর ভিজে যায় বলে অস্থির হয়ে পড়ে।
মানুষ গরমে একটু কাজ করলেই হাঁপিয়ে পড়ে তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। আর গরমের ভিত্তিতেই মানুষের জ্বর সর্দি এসব রোগ বেশি হয়ে থাকে। আপনারা যারা গরম নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস কিংবা গরম থেকে অসুস্থতা প্রতিরোধ করার উপায় খুঁজছে তারা আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
গরম নিয়ে উক্তি
বসন্তকাল শেষ হওয়ার পরপরই গ্রীষ্মকাল শুরু হয়। আর এই সময় সমগ্র ফলের আগমন ঘটে। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজ, এসব ফল গ্রীষ্মকালেই হয়ে থাকে। আর এসব ফল কৃষকরা বাজার বিক্রি করেও অনেক টাকা পায়। এসব টাকা খুব সহজে নষ্ট হয় না তাই কৃষকের মন আনন্দে ভরে উঠে।
গ্রীষ্মকালের রোদ অনেক তীব্র হয় বলে বাহিরে যারা যায় তাদের শরীর ঘেমে ভিজে যায় আর এসব কারণে একটুতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রকৃতিতে পানির খোঁজ পরে থাকে পশুপাখির। অতিরিক্ত গরমে অনেকের জি শরীর ের খাওয়া-দাওয়া উপযোগী হয়ে পড়ে না। খাওয়ার রুচি অনেকেরই কমে যায়।
গরমে অসুস্থতা প্রতিরোধ করার উপায়
গরমে সব বাহিরে গেলে সবার শরীর ঘেমে ভিজে যায় তাই ঘাম শরীরে বসে গিয়ে একটুতে সর্দি কাশি এবং জ্বর হয়ে থাকে। গরমে ছোট বড় সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই বিশেষ করে ছোটদের ডায়রিয়া রোগ হয়ে থাকে। গরমকালে কখনো ঠান্ডা কখনো গরম আবহাওয়া থাকায় জ্বর রোগ বেশি হয়ে থাকে।
আর এই সময় অনেককে ফ্রিজের খাবার খেয়ে থাকে তখন ঠান্ডা গরম এক হয়ে মিলে যায়। এতে করে অসুস্থতা বেড়ে যায়। নিচ্ছে অসুস্থতা প্রতিরোধের উপায় গুলো দেওয়া হল।
- প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
- সাদা বা হালকা রঙের ঢিলা-ঢালা ও ছোট হাতার পোশাক পরিধান করতে হবে যেন গরম না লাগে শরীরের ভিতরে।
- রোদে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করতে হবে বাইরের তীব্রতা শরীরের ভিতরে যেন না লাগে।
- রোদের মধ্যে কাজ করলে একটু পরপর ছায়ায় বসে বিশ্রাম নিতে হবে। তার সাথে পানি ও পান করতে হবে।
- গরমের সময় বেশি করে স্যালইনের পানি পান করতে হবে। কেননা ঘাম হয়ে যে পানি শরীর থেকে বের হয়ে গেছে স্যালাইনের পানি ঘাটতি দূর করে দিবে।
- গরমের সময় গায়ে ঘামাচি ,চুলকানি বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হতে পারে এজন্য প্রতিনিয়ত ও সাবান শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে শরীরের জন্য।
- গরমে যখন শরীর ঘেমে যাবে তখন বারবার মুছে ফেলতে হবে নতুবা শরীরে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।
- আর ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে বারবার ঘাম মুছে কাপড় বদলায় দিতে হবে।
গরম নিয়ে স্ট্যাটাস
গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া মানুষকে অস্থির করে দেয়। কখনো রোদ কখন বা ঠান্ডা আবহাওয়া। এতে করে মানুষের খুবই কষ্ট হয়। দিনে ঘুমানোর কোন উপায় থাকেন না রাতে ঘুমাবেন তবুও গরম।
কখনো কখনো কালবৈশাখী ঝড় হয়ে থাকে। তাই সাথে অল্প অল্প বৃষ্টি হয়। আর এতে বাতাস বয় তখন প্রকৃতি স্বস্তি আসে। এ সময় মানুষ একটু স্বস্তির আবাস পায়। ঠিক তেমনিভাবে গরমের তীব্রতা বেড়ে যায় যখন তখন মানুষ অস্থির হয়ে পড়ে। ঠান্ডা গরমের আবহাওয়া মানুষের শরীর কেঁপে উঠে। নিচে গরম নিয়ে স্ট্যাটাস গুলো উল্লেখ করা হলো
- শেষ হয়েছে শীতের দিন
চলে আসছে গরমের দিন
ঘামতে হবে সারাদিন
শরীর আমার থাকবে অস্থির। - সকাল-দুপুর রাতে
একইভাবে পরে গরম
ইচ্ছে করে সারাক্ষণ থাকি জলের ভিতরে। - গরম লাগছে ভীষণ ক্লান্তি
গলা যেন শুকিয়ে যায় বারবার অব্দি
গরম তো নয় যেন আগুনের গোলা
শরীরতো নয় পারছে সইতে। - গ্রীষ্মের দুপুর রৌদ্র হয় চৌচির
কোথাও নেই ছায়ার দেখা
তবুও বসে আছি আমি একা। - গ্রীষ্মের গরমে সোনালী
ফসলের উপর রোদ ঝলমল করছে
তাই দেখে কৃষকের মন খুশিতে নাচছে। - আসছে গরমের দিন
গাছে গাছে ধরবে নতুন ফলের মুকুল
বৈশাখী ঝড়ো হাওয়াতে ঝরবে গাছের মুকুল। - আচ্ছা গরম খুবই গরম
এই গরমে তাপে
মনটা আমার যাচ্ছে হাঁপিয়ে
পারছিনা তো আজ কিছু করতে
পরিশেষে বলা যায় আপনারা যারা আমাদের সাথে রইলেন তাদেরকে অনেক অভিনন্দন। আমরা চেষ্টা করছি আপনাদের মাঝে গরমের অতি গরম নিয়ে কারণে অসুস্থ হওয়ার প্রতিরোধের উপায় গুলো তুলে দেওয়ার। আশা করছি আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে । আমরা আবারো আপনাদের মাঝে আসবো নতুন কোন তথ্য নিয়ে সে পর্যন্ত আপনারা আমাদের সাথেই থাকবেন।