একুশে ফেব্রুয়ারির স্লোগান 2024। মাতৃভাষা দিবসের স্লোগান
প্রতি বছরের এ বছরও চলে এসেছে একুশে ফেব্রুয়ারি। বাঙালি জাতির জন্য এই দিনটি একটি বিশেষ দিন। কেননা এই দিনটিতে হাজারো শহীদের প্রাণ দিয়ে নিয়ে এসেছে বাংলা ভাষা। আমরা সকলে জানি একুশে ফেব্রুয়ারি এই দিনটিতে সকাল সকাল রেলের মাধ্যমে উদযাপিত হয়ে থাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। শহীদদের স্মরণে এই দিনটিতে পুস্পরঞ্জন হয় শহীদ মিনারে। আর এই স্লোগানগুলো আমরা আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে তুলে ধরেছি
মাতৃভাষা দিবসের স্লোগানপ্রতি বছরের এ বছরও চলে এসেছে একুশে ফেব্রুয়ারি। বাঙালি জাতির জন্য এই দিনটি একটি বিশেষ দিন। কেননা এই দিনটিতে হাজারো শহীদের প্রাণ দিয়ে নিয়ে এসেছে বাংলা ভাষা। আমরা সকলে জানি একুশে ফেব্রুয়ারি এই দিনটিতে সকাল সকাল রেলের মাধ্যমে উদযাপিত হয়ে থাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। শহীদদের স্মরণে এই দিনটিতে পুস্পরঞ্জন হয় শহীদ মিনারে। আর এই স্লোগানগুলো আমরা আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে তুলে ধরেছি।
অনেকেই একুশে ফেব্রুয়ারি স্লোগান পাওয়া যেন অনলাইনে অনুসন্ধান করে থাকে তাই আমরা আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে একুশে ফেব্রুয়ারি স্লোগান সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনারা যারা একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে স্লোগান পেতে চান তারা আমাদের আর্টিকেলটি থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলটিতে একুশে ফেব্রুয়ারী সম্পর্কে স্লোগান উল্লেখ করেছি যেগুলো একুশে ফেব্রুয়ারির দিন সকাল বেলা রেলির মাধ্যমে বলা হয়।
একুশে ফেব্রুয়ারি স্লোগান
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কয়েকজনকে রেলের মাধ্যমে স্লোগান দেওয়ার জন্য বলা হয়ে থাকে এ ক্ষেত্রে অনেকেই বিশেষ স্লোগান জানেন না তাই অনলাইন অনুসন্ধান করে থাকেন এই বিশেষ স্লোগানগুলো পাওয়ার জন্য। আমরা আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বিশেষ বিশেষ কিছু স্লোগান আমাদের এই আর্টিকেলটিতে তুলে ধরেছি। আপনারা চাইলে আমাদের এই আর্টিকেলটির নিচে থেকে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে স্লোগানগুলো তুলে নিতে পারেন।
“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানাে একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি। – আবদুল গাফফার চৌধুরী”
“একুশে মানে মাথা নত না করা। একুশের দাবি—মাতৃভাষার দাবি, ন্যায়ের দাবি, সত্যের দাবি। – আবুল ফজল”
“আবার ফুটেছে দ্যাখ কৃষ্ণচুড়া থরে থরে শহরের পথে কেবল নিবিড় হয়ে কখনও মিছিলে কখনও বা একা হেঁটে যেতে মনে হয়, ফুল নয় ওরা শহীদের ঝলকিত রক্তের বুদ্বুদ, স্মৃতি-গন্ধে ভরপুর একুশের কৃষ্ণচূড়া আমাদের চেতনারই রঙ। – শামসুর রাহমান”
“ঘুমাও ঘুমাও ভাইরা মােদের ঘুমাও মাটির ঘরে, তােমাদের কথা লিখিয়াছি মােরা। রক্তে আখর গড়ে। – জসীমউদ্দীন”
আট চল্লিশে গর্জে উঠা
ভাষা আন্দোলনের পথ মারিয়ে
বায়ান্নের একুশে ফেব্রোয়ারীতে এসে
রফিক, শফিক, জব্বার, বরকতদের
রক্তে রচিত ভাষার স্লোগান ।
মায়ের ভাষার দাবী নিয়ে
গর্জে উঠা একুশের স্লোগান
বাংলার আঙ্গিনা পেরিয়ে
আছরে পরছে বিশ্বজনিন
মিলন মেলায় ।
একুশের ঊষালগ্নে
প্রান্তর থেকে প্রান্তরে
আজ গেয়ে উঠে
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো
একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি তোমায় ভুলিতে পারি।
এ গানের শেষ নেই
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে গাইবে
বাংলার আকাশ, নদী, খাল-বিল,
গাছ-গাছালি, বনের পাখি, কাঠ-বিড়ালী।
এ গানের মুর্ছনায়
বাংলার কিষান-কিষানির কন্ঠে
ভাসে মুক্তির অভিধান
ছাত্র-শিক্ষক , কবি ও শিল্পীর
রচনায় আসে নতুন নতুন গান
শিল্পীরা আঁকলেন
নাট্যজনেরা লিখলেন
পেশাজীবিগন নেমে এলেন
কৃষক-শ্রমিকের আঙ্গিনায়
ঘরে ঘরে জম্ম নিল
গণঅভ্যুত্থান।
এভাবেই বায়ান্নর পথ বেয়ে
একুশের শহিদের
রক্ত দিয়ে লেখা হলো
অমর সব স্লোগান ।
তোমার ভাষা আমার ভাষা
বাংলা ভাষা বাংলা ভাষা
রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই,
দিতে হবে, দিতে হবে ।
আমার ভাইয়ের বুকে গুলি কেন,
জবাব চাই, জবাব চাই
আমার বোনের বুকে গুলি কেন,
জবাব চাই, জবাব চাই ।
গণআন্দোলনের পথ বেয়ে
শ্লোগান এলো
সোনার বাংলা শ্মশান কেন
জবাব চাই, জবাব চাই
তুমি কে আমি কে
বাঙালী বাঙালী ।
পদ্মা-মেঘনা-যমুনা
তোমার আমার ঠিকানা
পিন্ডি না ঢাকা- ঢাকা ঢাকা
জিন্নাহ মিয়ার পাকিস্তান
আজিমপুরের গোরস্তান ।
বীর বাঙালী অস্ত্র ধর
বাংলাদেশ স্বাধীন কর
বীর বাঙালী অস্ত্র ধর
সোনার বাংলা মুক্ত কর ।
লাখো শহীদের রক্তে আর্জিত
মহান মোদের স্বাধীনতা
আমার প্রিয় মাতৃভূমি
আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালোবাসি ।
ভাষার জন্য ৫২এর
পথ পরিক্রমায়
৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়
সংগ্রামী জনতার
ক্লান্তিহীন পথচলায়
সমৃদ্ধ আজ বাংলার পথ-ঘাট
কিষান কিষানির আঙ্গিনা ।
একুশের বুক চিরে জেগে উঠা
বাংগালীর শাশ্বত স্লোগান
দিচ্ছে যোগান
বাংলাকে দাবায়া রাখার শক্তি
আজ আর কারও নেই
ঘরে বাইরে কোথাও না ।