হারানো সিম বন্ধ করার উপায় | বাংলালিংক, টেলিটক, রবি, এয়ারটেল, জিপি বন্ধ করার উপায়
প্রতিটি গ্রাহক কোন না কোন কোম্পানির সিম ব্যবহার করে থাকেন। আরে সিমগুলো নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন করে অনেক নাম্বার সেভ করে রাখেন। কিন্তু হঠাৎ দেখা যায় কোন ঘটনা বসত সিমটি হারিয়ে যেতে পারে। তখন আপনি নিজে সতর্কতার জন্য বা নিজের সেফটির জন্য ওই সিমটি বন্ধ করে দিতে চান। কিন্তু আপনার জানা নেই কিভাবে সিমটি আপনি বন্ধ করবেন।
অনেকেই আছেন যারা সিম বন্ধ করার জন্য উপায় খুঁজতে অনলাইনে অনুসন্ধান করে থাকেন। আর আজকে আমরা সেই সকল মানুষদের জন্য হারানো সিম বন্ধ করার উপায় বা কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করব।
আপনার হারানো সিমটিতে আপনার অনেক কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে যেমন মোবাইল ব্যাংকিং থাকতে পারে জিমেইল অ্যাকাউন্ট থাকতে পারে ফেসবুক একাউন্ট খোলা থাকতে পারে কিংবা আপনার হারানো সিম দিয়ে whatsapp ইমু ফাইবার অ্যাকাউন্ট সহ অনেক অ্যাকাউন্ট থাকতে পারে। তাই আপনাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই সিমটি বন্ধ করে দেওয়া উচিত। তাহলে আসুন কিভাবে হারানো সিম বন্ধ করবেন সেই উপায় গুলো দেখে নিন।
সিম বন্ধ করার উপায়
আপনার হারানো সিম বন্ধ করার জন্য দুইটি উপায়ে রয়েছে যেমন সাময়িকভাবে ও স্থায়ীভাবে। এই দুটি উপায়ে আপনি আপনার সিমটি বন্ধ করে দিতে পারেন তাহলে চলুন আমরা দেখে নিই এই দুই উপায়ে কিভাবে সিম বন্ধ করা যায়।
প্রথমত সাময়িকভাবে সিম বন্ধ করার উপায়
আপনার চিমটি যদি হঠাৎ হারিয়ে গেছে কিন্তু আপনার সিমটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সিনটিতে আপনার অনেক তথ্য বা ডকুমেন্টস রয়েছে। এবার আপনি খুবই চিন্তিত কিন্তু কিভাবে সিমটি বন্ধ করবেন নতুবা নিজের বিপদে সম্মুখীন থেকে রক্ষা পাবেন। এর জন্য আপনি প্রথমে টেলিকম কোম্পানির কল সেন্টারে কল দিবেন অর্থাৎ 121 এ কল দিবেন তারপর আপনার কাস্টমার ম্যানেজারের সম্পর্কে আপনাকে প্রশ্ন করবেন সিমটি হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তখন আপনি বিস্তারিত হারিয়ে যাওয়ার কথা বলবেন এবং নাম্বারটা চাইলে নাম্বারটি দেবেন। কাস্টমার ম্যানেজার আপনার কাছে ডকুমেন্ট হিসেবে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার আপনার নাম জন্ম তারিখ পিতার নাম মাতা প্রজন তথ্যগুলো আপনার কাছে নেবেন এবং সাময়িকভাবে সিমটি বন্ধ করে দিবেন। এরপর যদি আপনি আপনার থিমটি পুনরায় তুলতে চান তাহলে তুলতে পারবেন।
দ্বিতীয়তঃ স্থায়ীভাবে সিম বন্ধ করার উপায়
আপনার হঠাৎ করে সিম হারিয়ে গেলে আপনি যদি সেম টেস্ট এইভাবে বন্ধ করতে চান তাহলে সরাসরি কাস্টমার কেয়ার যাবেন এবং সেখানে গিয়ে সিমটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়ার কথা বলবেন। সেখানে যেগুলো তথ্য আপনার চাই সেগুলো দিয়ে আপনি স্থায়ীভাবে সিমটি বন্ধ করে দিতে পারবেন। কিন্তু এজন্য আর আপনি পরে সিমটি তুলতে পারবেন না।
সিম বন্ধ করা প্রসঙ্গে প্রশ্ন উত্তর
সিম বন্ধ করা নিয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর নিচে প্রদান করা হলো এখান থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন
আপনি কি স্থায়ীভাবে সিম বন্ধ করতে পারবেন?
- হ্যাঁ বন্ধুরা আপনার নামে রেজিস্ট্রেশন কৃত সিম হলে আপনি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিতে পারবেন।
আপনি কি সাময়িকভাবে সিম বন্ধ করতে পারবেন?
- হ্যাঁ আপনি সাময়িকভাবে সিমটি বন্ধ করে রাখতে পারবেন এবং পরবর্তীতে আপনি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সাপেক্ষে সিমেন্টে তুলতে পারবেন।
সিমটি বন্ধ করার পর কেউ কি তুলতে পারবে,?
- সিমটি বন্ধ করার পর আপনি ছাড়া আর কেউ বলতে পারবেনা।
আপনি দিনে কয়টি সিম বন্ধ করতে পারবেন?
- আপনি একদিনে অর্থাৎ 24 ঘন্টায় একটি সিম বন্ধ করতে পারবেন।
নিজের সিম অন্য কেউ বন্ধ করতে পারবে
- নিজেরে স্টেশন করা সিম আপনি ছাড়া অন্য কেউ বন্ধ করতে পারবেন না.
সিম বন্ধ করার জন্য কয়টি পদ্ধতি রয়েছে
- সিম বন্ধ করার জন্য দুইটি পদ্ধতি রয়েছে যেমন স্থায়ীভাবে বন্ধ করা এবং সাময়িকভাবে বন্ধ করা।
সিম বন্ধ করার কয়টি সেবা কেন্দ্র রয়েছে
- আপনি দুইভাবে সিম বন্ধ করতে পারবেন প্রথমত কল সেন্টারে কল দিয়ে এবং দ্বিতীয়ত নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার থেকে।
সিম বন্ধ করার কারণ কি?
সিম বন্ধ করার অনেক কারণগুলি রয়েছে যেমন:
১. সিম হারিয়ে যাওয়া
২. সিম চুরি হয়ে যাওয়া
৩. হ্যান্ডসেট হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হয়ে যাওয়া
৪. দীর্ঘদিন সিম অব্যবহৃত অবস্থায় রেখে দেওয়া সিম বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
৫. সিম দীর্ঘদিন পকেটের মানিব্যাগে রেখে দেওয়াতে সিমের নিজস্ব ক্রিয় ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়া।
৬. দীর্ঘদিন সিমে কোন লেনদেন না করা। অর্থাৎ কোন পরিমাণ টাকা রিচার্জ না করা। ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে সিম কার্ড নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
উপসংহার
তাহলে প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা খুব সহজেই হারানো সিম বন্ধ করতে পারবেন সেটা এস এইভাবে হোক কিংবা সাময়িকভাবে। আর আজকে আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসলে আপনাদের আশেপাশের সবাইকেই তথ্যটি জানানোর সুযোগ করে দিবেন।